বিষ্ণুপুর
-রত্না শ্রেয়া মুখার্জ্জী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
মল্লভূম বিষ্ণুপুরের লাল মাটির টান
সারদা দেবীর পদ স্পর্শে ধন্য সেই স্থান।
পরিখা ঘেরা প্রাচীন শহর ঐতিহাসিক ভূমি
সেই ভূমিতে মাথা ঠেকায় পদতল তার চুমি।
মন্দিরের গাত্রে আঁকা পৌরাণিক উপাখ্যান
বিষ্ণুপুর ঘরানার বিখ্যাত ধ্রুপদী গান।
সপ্ত সুরে অনুরণিত সাতটি বিখ্যাত বাঁধ
পাথরের তোরণ দ্বারের অপূর্ব এক ছাঁদ।
টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্পের নিদর্শন
দুচোখ ভরে দেখলে পরে জুড়িয়ে যায় মন।
সুবিখ্যাত সবের মধ্যে পোড়ামাটির ঘোড়া
বালুচরি শাড়ির কদর বিশ্বজগৎ জোড়া।
সামুদ্রিক শঙ্খ হতে নবোঢ়া বধুর শাঁখা
তার উপরে নানান চিত্র খোদাই করে আঁকা।
তামাক ছাড়াও হাতে তৈরি কাঁচের লণ্ঠন
সিল্ক ও খাদির তৈরি বস্ত্রের শ্রেষ্ঠ প্রচলন।
রাধা-কৃষ্ণের যুগল বিগ্রহের গর্ভগৃহে স্থিতি
আষাঢ় মাসে মহা সমারোহে রথযাত্রা রীতি।
মা মৃন্ময়ীর শারদীয়া বঙ্গের প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ
কামান দেগে সন্ধিপূজায় অনন্য ও ঋদ্ধ।।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
রত্না শ্রেয়া মুখার্জ্জী। জন্মস্থান- বাঁকুড়া জেলার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর শহর। পিতা শহরের স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ার। পড়াশোনা–মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক (বাংলা সাহিত্যে) বিষ্ণুপুর শহরেই। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যপ্রেমী মায়ের সান্নিধ্যেই সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ। স্কুলের ম্যাগাজিন, পুজোর পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়েই লেখালেখির শুরু। এরপর নানা পত্র পত্রিকায় বহু কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ছন্দ কবিতার প্রতি অধিক আকর্ষণ। লেখা ছাড়াও আবৃত্তি, সবুজ প্রকৃতি চর্চা, হস্তশিল্পের দিকেও বিশেষ শখ। বর্তমানে সংসার জীবনের আবর্তে একমাত্র কন্যার প্রেরণা লেখার উৎসাহকে উজ্জীবিত করে।]

