ফুরিয়ে যাওয়ার আগে
-শান্তি দাস
∞∞∞∞∞∞
জীবন চালিত পথে সবাই ভালোবাসা খুঁজে,
জীবনের আশা পূরণের সব নিতে চায় একসাথে।
একে অপরের ভরসায় জীবন কাটিয়ে চলার শপথ,
মাঝে মাঝে ঝড় এসে উলোট পালট করে চলে যায়।
সবাই জানে একদিন ফুরিয়ে যাবে এই জীবন,
তবুও থেমে নেই কেউ আমার আমার করে চলে।
মনে হয় এই বুঝি জীবনের শেষ ভাবনা আসে মনে,
শেষ হয়ে কি শেষ হয় জীবনের দোর সেটাই ভাবনা।
শেষ বলে কি কিছু হয় এই পৃথিবীর বুকে,
শেষ থেকে শুরু,আবার শেষ তবেই তো থাকবে সুখে।
তাই তো ফুরিয়ে যাওয়ার আগে বিলিয়ে দিতে সবার মাঝে,
পারে কি মানুষ এমনটা করতে! অসহায় দের সেবা করতে!
সংসার জীবনের কত না নিত্য নতুনত্ব সৃষ্টি,
ভাঙাগড়ার এই খেলা ঘরে আছে জড়ানো মানুষের সব।
একদিকে মৃত্যু একদিকে জন্ম এই তো ভবের খেলা,
মানব জাতির শেষ হলেও শুরু নেই তার ফুরিয়ে যেতে।
ক্ষণিক তরে ভাবছে সবাই এই বুঝি হলো সবকিছু শেষ,
সবই চলছে খেলাঘরের আছে তো সব ঠিক?
জানে সব চোখ বুঝলেই শেষ তাই তো গুছিয়ে রাখে,
দিতে চায় পরবর্তী গুছিয়ে খেলাঘরের খেলায় মেতে।
∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু।

