বাঁশবাগান
-সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে বাঁশবাগানে,
দুরন্ত মার্বেল খেলোয়াড়ী হার না মানে।
ডাহুক ডাকে হুতুমপেঁচা ডাকে ডেরাতে,
একটু একটু ভয় লাগে আঁধারের সাথে।
শৈশব হতে কৈশোর কত স্মৃতি গড়িয়ে,
আছে আজও ছোট্ট বাঁশঝাড় জড়িয়ে।
বাঁশঝাড় হৃদ নাড়িয়ে আকাশ ছাড়িয়ে,
একপায়ে দাঁড়িয়ে যায় কুর্নিশ জানিয়ে।
পুকুরে স্বচ্ছজল করে থর থর দ্বিপ্রহরে,
রাতে বাঁশবাগান পূর্ণিমার আলো ঝরে।
মেটোপথটি গেছে বয়ে বাঁশবাগান হয়ে,
লুকোচুরি খেলাঘরে আলো ছায়া লয়ে।
সাঁঝপূর্বেই পানকৌড়ি টুপটুপ ডুব মারে,
মাছরাঙ্গা আছে ঘাপট মেরে বাঁশঝাড়ে।
তেঁতুল বকুল তালগাছ আছেই দাঁড়িয়ে,
মনাকাঁটা চোরকাঁটা আরো কী জড়িয়ে!
ভোরের আলোয় আলোকিত দুর্বাঘাসে,
বিভোর জাগানিয়া হাসে স্নিগ্ধ বাতাসে।
বাতাসে বাতাসে ফুলেল সুরভীর পরশে,
হাসে মনন দোলে স্বপন মোহিত হরষে।
প্রকৃতির সনে কহিতে কথা বাঁশবাগানে,
খুঁজি মায়ার ছায়া হারাও দিগন্তে স্নানে।
স্মৃতির অববাহিকায় বিলাসী অবগাহন,
নিসর্গস্নানে বাঁশবাগানে আয় প্রেমিমন।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ কবি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা ও মাতা হাজেরা বেগম) বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত রামপাল ইউনিয়নের জোড়ার দেউল গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই ছয় বোনের মধ্যে কবি ১১ তম। উত্তরসূরী হিসেবে স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ১০ বছর বয়স হতেই কবির লেখালেখির হাতে খড়ি। এছাড়াও পছন্দ দাবা, আড্ডা দেওয়া ও লেখালেখি করা। তিনি এক সময় প্রথম আলো ব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন এবং বর্তমানে ফেইসবুকে বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি সহ সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত।

