মেঠোপথ
-মোহাম্মদ ছোলেমান ভূঁইয়া
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
মেঠোপথে আর যায় না তো শোনা
বাউলের একতারার সুর,
রাখাল তো এখন বাজায় না বাঁশি
বটতলায় নির্জন দুপুর।
রাধা রমনের শ্যাম কালা তো আর
এখন নেই বৃন্দাবনে,
লীলা আর করে না রাধা এখন
শ্যামল কালিয়ার সনে।
নির্জন যমুনার ঘাট, জলকে বধূ
যায় না তো রাধা যে আর,
এখন শ্যাম কালিয়া প্রতিনিয়ত
অপেক্ষায় রয় না তো তার।
মাথার সিঁথির মতো যে মেঠো পথ
নেইকো তো আর সে গাঁয়ে,
মেঠো পথে রাঙা রবির কিরণ
তখন পড়তো ছড়িয়ে।
মেঠোপথে শিশির ভেজা ঘাসে
শিশির করতো যে চিক্ চিক্,
বনের নীড় ছেড়ে সকল পাখিকুল
ছুটে যেতো চতুর্দিক।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতিঃ
কবি মোহাম্মদ ছোলেমান ভূঁইয়া ; কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার অন্তর্গত বক্রি কান্দি নামক একটি আদর্শ গ্রামের মধ্যবিত্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬৮ইং সালের ৪ঠা এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯৩ ইং সালে ডিগ্রি পাস করেন। প্রায় একুশ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন শেষে একটি বেসরকারি স্কুলে প্রায় নয় বৎসর শিক্ষকতা করেন। তিনি বর্তমানে ডি এস এল গ্রুপের ডিপিপিএল -এর স্টোর সেকশনে চাকরি করেন। তার এপর্যন্ত ১১টি একক ও অনেক গুলো যৌথ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলো হলো- ‘মেঘলা আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ”নীলার মনে নীল দুঃখ”আলোয় ফেরার রইলো নিমন্ত্রণ’এবং উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গুলো হলো-‘তিমির বিনাশী বাতিঘর’ ‘মন গহীনে পোড়ে মন’ও ‘এক অকিঞ্চন আত্মভোলা এবং অতিক্রান্ত স্টেশনের গল্প’। তিনি বর্তমানে চান্দিনা মোকামবাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি সবসময় বিভিন্ন সাহিত্য প্রত্রিকায় ও সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি করে থাকেন। কবি মোহাম্মদ ছোলেমান ভূঁইয়া সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী।

