হয়েছি গোলাম
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
–––––––––––––
একদিন অনেক ভুঁই ছিল, নদী ছিল,
দিঘী ভরা মাছে আপ্লুত হত মন।
গোলাতে ধান, গোলা গেছে মহাজন এঁকেছে সঞ্চয়,
হেমন্তের সাথে হাঁটতে সব হারিয়ে কিনেছি শিশির।
শীত এসে কড়া নাড়ে, তাপ খুঁজি অন্যের উমে-
তালগাছ নেই,উজার বনের সাথে মিতালী এঁকেছে মরু।
ভুঁই হারিয়েছে নদীতে, নদী হারিয়েছে স্রোত,
কলতান নেই অন্যের ভূমি বর্গা নিয়ে হয়েছি গোলাম।
তালগাছ সাক্ষী ছিল পথের, দিক বলে দিত
গগন স্পর্শী গল্পে।
ডোবা হয়ে দিঘী শুকিয়েছে
ধীরে ধীরে ময়লা জমছে সেথায়।
অবাধ সাঁতার নেই, চাঁদের কণা ছুটছে দূরে।
মস্তিষ্কের সবুজ সতেজ ভাবনাগুলো কাঁদে,
স্বাধীন ভাবনাগুলো নির্ভরশীল কৃত্রিম ছায়ায়।
এ আই এসেছে তাপ খেয়ে শুকিয়েছে মগজ,
চোখ হারিয়েছে দিশা,মস্তিষ্কে লেন্স লাগিয়ে চলছি পথ।
–––––––––––––
কবি পরিচিতি-
জন্ম ১৫ জুন, ১৯৬৬ ইং, বিভাগীয় শহর রাজশাহী, পিতা মৃত: মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন। ৫ ভাই, ৩ বোন। ছোট থেকে লেখালেখিতে অভ্যস্ত। একসময়, দৈনিক উত্তরা এবং সংজ্ঞা দিনাজপুর। মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন প্রিয়তমেষু ঢাকা। সপ্তাহিক জনরব, আলপনা সাহিত্য ঠাকুরগাঁও। বর্তমানে বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকায় লিখছেন যেমন, কবিতার পাতা সহ অন্যান্য অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ ২০২৫ এবং ২০২৬ সাল ঢাকা বইমেলা ফেব্রুয়ারিতে,(১) আলো ছায়া (২ এবং ৩ কাব্যগ্রন্থ, লাল ঘুড়ি নীল মন+সময়ের রঙ) সাংসারিক জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক, স্থায়ী নিবাস জেলা সদর ঠাকুরগাঁও (জেলা সদর ঠাকুরগাঁও)

