রং পেন্সিল
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
জীবনে অসহায়ত্ব কিছু কিছু জিনিস বদলায়,
চিত্রপটে ফুটিয়ে তোলা জীবন কাহিনী গুলো।
মনের দরজায় ভিড় করে নিজেকে গড়া যায়,
অসহায় কন্যা সন্তান নেই তার চলার ক্ষমতা,
বন্ধ ঘরে রেখে সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত।
সেই বারান্দার পাশে পড়ে থাকা আবর্জনা মিশ্রিত,
ঘরে বসে আকুল প্রার্থনা নিজেকে কিসে গড়বে।
ধুলো মিশ্রিত ঘরে কত কত ছবি আঁকা ওয়ালে,
তাকিয়ে ভাবনা কার আঁকা ছবি স্মৃতি ক্যানভাস।
ভাবনা মনে কারো সৃষ্টি রং পেন্সিলে গড়া অনুভূতি,
একা একা দিন কাটে একটু একটু ধুলো মুছে।
হঠাৎ টৈবিলের ড্রয়ারে খুঁজে পায় রং পেন্সিল,
খুঁজে পায় একটি ছোট্ট ডায়েরি লেখা তাতে স্মৃতি।
দাদু বৃদ্ধ বয়সে একা কাটাতো চিলেকোঠা ঘরে,
বসে আঁকতো ছবি রং পেন্সিলে অসহায় হয়ে।
পেয়ে কিছু খালি কাগজ নিজেকে গড়ার উদ্যোগ,
মনের ভাব ফুটিয়ে তুলতে রঙিন ছবি আঁকা।
রং পেন্সিলে নতুন ভাবনায় আঁকতে শুরু করা,
নিজের মনগড়া রং পেন্সিলে আঁকা ঘরের ওয়াল।
মনের রূপে রাঙিয়ে জীবন সংগ্রামের মাধ্যম,
জীবন আজ রং পেন্সিলে গড়া স্মৃতির ক্যানভাস।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু।

