পড়ার আড্ডায় সভ্যতা এগিয়ে যায়
-আবুল হাসমত আলী
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
আড্ডাখানা জমে উঠে হাসিতে মন ভরে,
হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা চোখে অশ্রু ঝরে।
ছেলে মেয়ে সবাই সেথা তামাশাতে ব্যস্ত,
সেই তামাশায় যোগদান করতে আসে তারা কত।
সৌরিন হাসে হা_হা করে, ফারহিন একটু চাপা,
তেষট্টি একফালি মেয়ে, চোখ দুটি তার ডেবা।
মোসলেম থাকে সদা ব্যস্ত অপরকে রাগাতে,
তেষট্টিতে শুরু করে শেষ করে মুরগিতে।
নিলয় নামে ছাগল আছে, সত্যি নয় সে ছাগল,
তাকে নিয়ে মিঠি ব্যস্ত, যেন হয় সে পাগল।
চন্দন, আসিফ গোলমাল পাকায়, সাদ্দাম একটা মিচকে,
আয়ুষ নামে বাচ্চাটি তো ঘেঁটে দেয় সবাইকে।
সুরাইয়া খুব শান্ত মেয়ে সাইনাথ একদম স্ট্যাচু,
কারো সাথে কথা নেই তার সদাই ভাবে কিছু।
তারি মাঝে আসমিনা আর মনিষা কথা কয়,
বাকিরা সব তাদের দিকে দিব্যি তাকিয়ে রয়।
মহিদুল আর শরিফুল দুই বন্ধু যেন তারা,
কথার মাঝে ফোড়ন কাটে, করে খুব মশকরা।
দুঃখ কষ্টে জীবন ভরে ধরা অশ্রুসিক্ত,
তারি মাঝে আড্ডাখানা আনন্দে সম্পৃক্ত।
আনন্দ আনে মনে জোয়ার, নিশ্চয়ই সেটা ভালো,
সেই জোয়ারে ভেসে যেতে কার না মন চায় বলো?
আড্ডা থেকে বাইরে গিয়ে তারা করে কুস্তি,
কুস্তি করে মস্তি করে, ঘরে ফিরে স্বস্তি।
গ্রহ ঘোরে পাখি উড়ে সূর্য ওঠে ভোরে,
আড্ডা দিতে সাইকেল চড়ে সবাই আসে ফিরে।
তারই ফাঁকে পড়াশোনা চলে ধীরে ধীরে,
সভ্যতা তাই এগিয়ে যায় ভিন্ন কোন গ্রহে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।

