ডাকে ভোরের শিশির
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
হেমন্তের শেষ দর্শন চলছে
রাতের হালকা হিমেল জড়িয়ে আনে
শরীর জুড়ানো অপূর্ব মধুতা।
কিছু কুয়াশা কিছু শিশির মাধুরী মাখিয়ে
শরীরে জড়িয়ে দেয় হালকা উমের বসন,
প্রকৃতি কি যেন এক প্রশান্তি ছড়ায় হৃদয়ে!
খরাতে তপ্ত দেখেছি,
বর্ষায় দেখেছি বিকট উদ্ভট শব্দচয়ন
দেখেছি ঘন বর্ষায় জীবনের পরিতাপ।
ফুলের শুভ্রতা ঘেরা হেমন্তের একমুঠো মিষ্টি রোদ
দিয়ে যায় কোমল হাসি।
ভোরের শিশির জমে থাকা দুবলা ঘাসে হেঁটে চলা
মেঘবালিকার চমক চরণ রাঙায় চোখ আমার,
রাঙায় হৃদয়।
হেমন্তের ফুল ফুটেছে-
কামিনী শিউলি মল্লিকা হিমঝুরি বেদকাঞ্চন,
মায়া মেলে ডাকছে ষোড়শি প্রেম।
ডাকে ভোরের শিশির,
দুবলা জড়ানো ঘাসে কোমল পেতে বোঝাতে প্রেম।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
জন্ম ১৫ জুন, ১৯৬৬ ইং, ভেরি পাড়া,বিভাগীয় শহর রাজশাহী। শৈশবের অনেকটা সময় রাজশ্রী অঞ্চলেই কেটেছে, আট ভাই বোন কবি সপ্তম। পিতা মৃত: মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন। ছোট থেকেই লেখা লেখিতে অভ্যস্ত। পূর্বে যে সমস্ত পত্রিকা গুলোতে নিয়মিত লিখতেন, দৈনিক সানসাইন রাজশাহী, দৈনিক উত্তরা ও সংজ্ঞা দিনাজপুর, সাপ্তাহিক জনরব এবং আলপনা ঠাকুরগাঁও, মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন এবং প্রিয়তমেষু ঢাকা, আরো বেশ কিছু পত্রিকাতে নিয়মিত ছিলেন। বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা কবিতার পাতা সহ আরো বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। একক কাব্যগ্রন্থ আলো ছায়া প্রথম প্রকাশিত হয়। ২০২৬ ঢাকা বইমেলাতে আরো দুটি একক কাব্যগ্রন্থ থাকবে বলে আশা রাখছি ইনশাল্লাহ, সাহিত্য জগতে কোন কোন ক্ষেত্রে আমাকে all star contributor বলা হয়েছে যা আমার জন্য অমূল্য উপহার। সংসার জীবনে দুইজন কন্যা সন্তানের জনক, স্থায়ী নিবাস ১ নং ওয়ার্ড, মাদ্রাসা পাড়া, জেলা সদর ঠাকুরগাঁও,সকলের দোয়াপ্রার্থী।

