মৃত্যুপিতা
-অশোক কুমার পাইক
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
বারেবারে মৃত্যুকে আমি করেছি আলিঙ্গন
সম্ভাষণ করেছি তেজদীপ্ত দুঃসাহসিকতায়,
আমার আহ্বানে স্তম্ভিত দুরন্ত ঐ মৃত্যুপিতা
তবুও সান্নিধ্যে আসে না সরল, কুটিলতায় l
মৃত্যুপিতার সেই কুৎসিত রূপ আমি দেখেছি
গহীন আঁধারে ভয়ঙ্কর, নিষ্ঠুর, অমানবিকতা,
তীব্র আস্ফালনে, রক্তচক্ষুময়, নির্মম প্রবৃত্তি,
দীর্ঘাকায়, অবিন্যস্ত কেশ, নির্মম মানসিকতা l
নিশুতি রজনী আঁধারে রোজ যাওয়া আসা
একটুও নাই অন্তরে বিগলিত করুণার ধারা,
আমার এ হৃদযন্ত্রে জেগে উঠে বিদ্রোহী সত্ত্বা,
তর্কযুদ্ধে পশ্চাতে হটে তার দগ্ধ প্রাণে মারা l
যখনি হয় জীবন বিধ্বস্ত তখনি তার আগমন,
ঝটিকা সফরে মৃত্যুদণ্ডের ফরমান হাতে নিয়ে,
মৃত্যুযাত্রীর সম্মুখে দাঁড়ায় প্রাণ কাড়া ঈঙ্গিতে
এতই যমের মায়াবী প্রলোভন শ্যেন দৃষ্টি দিয়ে l
বড়ই নির্মম, একছত্রপতি মৃত্যুপিতা -যমরাজ,
ত্রিভুবন ঘুরপাক খাও নিত্য বসাও মৃতের হাট,
যমপুরীতে একাই তুমি নিষ্ঠুর, নির্দয় বিচারক,
শাস্তি দাও, তোমার বিধানে চালাও রাজ্যপাট l
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
লেখক পরিচিতি :
কবি অশোক কুমার পাইক, জন্ম তারিখ ১১ আগস্ট ১৯৬৬ সালে l পিতা স্বর্গীয় যামিনী কান্ত পাইক, মাতা স্বর্গীয়া কিরণ বালা দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র l পৈতৃক নিবাস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত মন্দিরবাজার থানা ও ব্লকের অধীন ধোপাহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন l
শিক্ষাগত যোগ্যতা কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় হইতে স্নাতক, কলা বিভাগ l আশির দশক হইতে অদ্যাবধি সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত এবং ধোপাহাট মিলন সংঘ নামে একটি সমাজসেবী ও গ্রামোন্নয়ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত l বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ও চিপ ফাঙ্কশনারি l বর্তমানে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য l তিনি ২০১৭ সাল হইতে অদ্যাবধি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হিউমান এয়ারনেস অর্গানাই জেশন এর সদস্য এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, মথুরাপুর ব্লক কমিটি l কবির রচিত নাটক মুসাফির, পল্লীজননী, দেবতার সমাধি, ভগবান কাঁদছে প্রভৃতি l বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে l

