মেঠোপথ
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
গ্রামে মেঠো পথে সারি সারি কত গাছ,
রাঙামাটির পথে আঁকাবাঁকা সবুজ দিশে আজ।
শস্য শ্যামলা সবুজে অপরূপ রূপে ভরা প্রকৃতি,
প্রকৃতি যেন হাসছে ফুঁটে উঠা মনে আঁকা ছবিটি।
চারিদিকে সবুজে ভরা দৃশ্য সে যেন নতুন পাওয়া,
গ্রামের সবুজে ঘেরা মেঠো পথে আসা যাওয়া।
এই রাঙামাটির পথ হারিয়ে যায় কোথায় তার শেষ,
প্রকৃতির সৌন্দর্য মন হারিয়ে যায় লাগে বড় বেশ।
মাঝে মাঝে দীঘির জলে শাপলা শালুকে ভরা,
চারিদিকে প্রকৃতি যেন সৌন্দর্যের রূপে ঘেরা।
সকালে মেঠোপথ থাকে নীরব নিস্তব্ধতায়,
কৃষকেরা গরুর পাল নিয়ে মেঠো পথে দিয়ে যায়।
সকালে ধুলোবালি কম নীরবে চলছে সকলে,
সারাদিন চলে পথে আনাগোনা লোক সমাগমে।
পল্লী গায়ের বধূ কলসি কাঁখে হেলেদুলে জল আনতে যায়,
কৃষক ভাইয়েরা অশ্রু জড়ানো চোখে স্বপ্ন এঁকে বেড়ায়।
বিকেলে কৃষক গরু নিয়ে ফেরার পথে মেঠো পথ ধুলায় ধূসরিত,
ব্যথা বেদনা ভুলে ফসল যখন ঘরে তুলতে মন পুলকিত।
বাউল শেখায় সেথা গান ধরেছে এক তারাটি নিয়ে হাতে,
উদাস সুরে চলছে গেয়ে রাঙামাটির পথে পথে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু।

