স্মৃতি মেদুর কবিতার কথা
-তনুশ্রী বসু(পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
দীর্ঘ পঞ্চাশটি পর্ব, অতিক্রম করেছি,
আমার পর্ব লিপি, কবিতার পাতায়,
অনেক ঝড় ঝাপটা, সুখ দুখের সাথে,
দাগ কেটেছে, জীবনের প্রতিটি পর্বের খাতায়।
জাকির দাদাভাইয়ের, আন্তরিকতায়,
আমি, ছোটবোন হিসাবে, অতি আপ্লুত,
এই স্মৃতি মুছবেনা, থাকবে অম্লান অক্ষত,
দাদাভাই ও কলম সাথী বন্ধুরা হও বিখ্যাত।
জানিনা জীবন পথে, চলতে চলতে হয়ত,
দেখা পাব পথে ঘাটে, কখন কোনদিনও,
আমি রব নীরবে, প্রকৃত বন্ধুর মত, স্নিগ্ধ হাসিতে,
তোমরা সবাই, ভালো থেক, হাসো আনন্দ দিও।
বিদায় বেলায়, এই বলে যাই, শান্তিতে ভরুক প্রাণ,
জীবন থমকালে, বেদনা সহ্য করো, বিশ্বমাতার মত,
আশ্রয় নেবে, মায়ের কোলে, সর্বাবস্থায় নিরাপদ,
কামনা করি, আসেনা যেন, তোমাদের জীবনে ক্ষত।
জীবন এক উপন্যাস, ঘটনার সমাপ্তি হয়না কখনও,
কিছু ঘটনা, মনে বড়, দাগ কাটে, কিছু হারিয়ে যায়,
স্মৃতি সদাই, আনন্দদায়ক, তবে কিছু স্মৃতি কর্কশ,
ভাল মন্দ মিশিয়ে, স্মৃতিরা, কথা বলে মনের, আঙিনায়।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর চারেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

