ওই দূর দিগন্ত
-সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
ওই দূর দিগন্তে যত দূর আঁখি যায় হৃদ হারায়,
মুগ্ধ সবে স্বপ্ন আঁকা মধু মাখা তুলির ছোঁয়ায়।
মায়ামী প্রকৃতির টানে প্রেমি হৃদয় গহীনে ধায়,
পথ পথান্তর হতে বন বনান্তরে ভাবনা সাজায়।
সাঁঝের মায়ায় রাতের ছায়ায় কে পথ ভোলায়,
চঞ্চলা প্রকৃতির মোহ মায়া বাঁধন হারাতে চায়।
ভোরের আলো দূরের কুয়াশা ডাকছে আমায়,
ধূসর বিবর্ণ ঐ দিগন্ত কে হারাবি আয়রে আয়।
অদুরে নদী ওই বয়ে যায় মাঝি গান গেয়ে যায়,
কাশফুলও ঝরে যায় কচুরিপানাও ভেসে যায়।
মুলা ফুলে সাদাটে সরিষা ফুলে হলুদাভ দু’ধার,
ধূসর নীলের শোভাময় দিগন্ত লাগে চমৎকার।
তেপান্তরের মাঠে রাখাল ঐ গরু ছাগল চড়ায়,
কৃষাণে জাল মারে কৃষাণী হাঁস-মুরগি তাড়ায়।
নীলিমায় রক্ত আঁকা শুভ্র মেঘে ঢাকা আকাশ,
আঁকাবাঁকা পিচ ঢালা পথে বহে স্নিগ্ধ বাতাস।
পথের দু’ধার বাঁশঝাড় হতে বিহঙ্গম যায় উড়ে,
তারা’র সাথে চাঁদ নিশিথে ডাকে স্বাগতঃ স্বরে।
বিমুগ্ধ কবিমনে দুর দিগন্তের ধূসর ছবি আঁকা,
বাতায়ন দিয়ে অদূর দিগন্তে শুধুই চেয়ে থাকা।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ কবি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা ও মাতা হাজেরা বেগম) বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত রামপাল ইউনিয়নের জোড়ার দেউল গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই ছয় বোনের মধ্যে কবি ১১ তম। উত্তরসূরী হিসেবে স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ১০ বছর বয়স হতেই কবির লেখালেখির হাতে খড়ি। এছাড়াও পছন্দ দাবা, আড্ডা দেওয়া ও লেখালেখি করা। তিনি এক সময় প্রথম আলো ব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন এবং বর্তমানে ফেইসবুকে বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি সহ সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত।

