পৌষের শীত
-তনুশ্রী বসু(পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
শীতে ছট ফট, করছে সকলে, কনকনে ঠান্ডায়,
স্নানের সময় ভয় পাচ্ছে, জল ঢালতে মাথায়,
চায়ের কাপে চুমুক দিতে, সারাদিন মন চায়,
লেপ মুড়ি দিয়ে, শুয়ে থাকি, কি দারুন মজায়।
শীতের বুড়ি, আর কতদিন থাকবে, এ অবস্থায়,
দীন দুঃখী দরিদ্র মানুষ, বড়ই কষ্টে দিন কাটায়,
টালির অথবা খড়ের চাল, মাটির দেয়াল যাদের,
সূর্যমামা একবার ভাবো, কত কষ্ট হচ্ছে তাদের।
কোথাও কোন বাধা নেই, মন্ত্রী মহলে ব্যাস্ত সব,
সবাই বলে “ওরে বাবা”, শীতের ভীষণ প্রকোপ,
কলকাতা বইমেলা, শুরু হবে মহা সমারোহে,
যাওয়া আসা, করছে সকলে, শীত ও বৃষ্টি সয়ে।
আর একটা মাস সহ্য কর, একটু নাহয় ধৈর্য ধর সব,
আসছে ফাগুন, সঙ্গে নিয়ে, বসন্তে কোকিলের রব,
খেতে মজা শীতের পায়েস, পিঠে, কচুরী আলুরদম।
ভাল মন্দ সবই আছে, শীত বাহারী নয় কিছু কম।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর চারেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

