হাতছানি দিয়ে ডাকছে মহাকাল

– মো সেলিম হোসেন

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

কাব্যের উঠানে দাঁড়িয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে মহাকাল,

কবি তোমার নবসৃষ্টিতে হোক জগৎ আলোক- উজ্জ্বলময়।

ক্যালেন্ডারের প্রতিটি পাতা ভরে উঠুক কাব্যের ঝরনা ধারায়,

নবসৃষ্টির উল্লাসে বয়ে যাক পৃথিবীর বুকে কল্যাণের মহাপ্রলয়।

মুছে যাক জরার্জিণ, দুঃখ,কষ্ট,হতাশা গ্লানির মহাপ্রচীর,

তোমার সৃষ্টি বয়ে আনুক শান্তির শ্বেতপায়রা কলমের বার্তায়।

কবি আজি দুয়ারে কড়ানাড়ছে বসন্ত কোকিলের ডাকাডাকি,

তবুও কেনো কবিতে কবিতে করছো নকল নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ি।

কবি আজ কে বড় কে ছোট এটা ভাবার নেই,ত সময়,

মহাকাল যে চেয়ে আছে তোমার নবসৃষ্টির অপেক্ষায়।

আঁধার কাটিয়ে কবি ফিরতে হবে হাতে রেখে হাত,

পৃথিবীর মঙ্গল কামনায় সৃষ্টির মত্ত হতে হবে দিন হতে রাত।

সনদ নিয়ে ব্যস্ততা ছাড়তে হবে নবীন-প্রবীন সকল

কবিদের দলকে,কবি-

কি হবে বলো এতো সনদ লাভ করে?

কি হবে বলো এতো সুনাম অর্জন করে?

কি হবে বলো এতো পদক লাভ করে?

যদি না পারি-কলমের ভাষায় জাগ্রত করতে একটি পাঠকের ও প্রাণ।

যদি না পারি -কলমের সৃষ্ট শব্দ দ্বারা জাগ্রত করতে মনুষ্যত্বের জয়গান।

যদি না পারি-কলমের সৃষ্টি দিয়ে সমাজটাকে অন্ধকার হতে আলোর পথ দেখাতে,,

যদি না পারি-কলমের সৃষ্টিতে বিশ্ব অনিয়ম,

দুশাসন তুলে ধরতে,

যদি না পারি-কলমের সৃষ্টিতে মানবতার জয়ধ্বনি কবিতার শব্দে ব্যবহার করতে,,

তবে যে কবি-

আপনার সৃষ্টি হবে বড়ই নিরার্থক,বড্ড বেমানান,

যা,শুধু হবে প্রার্থীব জীবনের অর্জন দিয়ে সাজানো

কাঁচের খেলাঘর,

এখনি সময় কবি সৃষ্টির উল্লাসে পৃথিবীকে নতুন স্বপ্ন দেখানোর,

এখনি সময় কবি প্রতিবাদী,বিপ্লবী শব্দ দিয়ে রঙিন পৃথিবী গড়ে তোলবার।

তবে হবে কবি আপনার সৃষ্টি সার্থক আর কল্যাণময়।

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

কবি পরিচিতি-

মো সেলিম হোসেন ১৯৮৯সালে ০১ পহেলা অক্টোবর এক গরীব কুটিরে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান।তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তার প্রথম কবিতা মায়ের স্নেহের বাংলা ভাষা যা ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়।এরপর তিনি বিভিন্ন সময় কবিতা লেখালেখি করেন কিন্তু কখনো কোথাও প্রকাশ করেননি।পরবর্তী ২০২০সালের ২৯ আগস্ট প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদের অনুপ্রেরণায় আবার নতুন করে লেখালেখি শুরু করেন।

1 thought on “হাতছানি দিয়ে ডাকছে মহাকাল – মো সেলিম হোসেন

  1. দারুণ রচিলেন কবিবর,সত্যিই মহাকাল একদিন দেবে তার প্রতিদান,লিখুন সত্য আর ন্যায়ের পথে।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*