আপনজন
-ডিউক হুদা
♣♣♣♣♣♣♣♣
জীবন চলার পথে সবার
কঠিন সময় আসে,
ষোলকলা পূর্ণ হয় যে
সকল সর্বনাশে,
বিপদকালে সবাই গেলেও
থাকে আপনজন,
দুঃখ কষ্ট শেয়ার করে
কাটে সবার জীবন,
সুখের পরে দুঃখ আসে
দুঃখের পরেই সুখ,
সকল জ্বালা সহ্য করে
আশায় থাকে বুক,
দুঃসময়ে বঞ্চনা নয়
মন চাই ভালবাসা,
আপন যদি দূরে চলে যায়
কে দেবে বাঁচার আশা,
সময় অসময় বলে কিছু নেই
কাছের মানুষ যারা,
সুখে দুঃখে সকল সময়
থাকলে পাশে তারা,
মনের মাঝে বহে সবার
ভালবাসার ধারা,
প্রতিকূলতার মাঝেও কেউ
হয়না গতিহারা,
বিপদ আপদ যতই আসুক
মোকাবেলা করে,
সবার সাথে সুসম্পর্ক
যায় যে রাখা ধরে,
সকল কিছুই সহজ হয়
হয় যে অমলিন,
আপনজনদের অটুট বন্ধন
থাকে চিরদিন।
♣♣♣♣♣♣♣♣
কবি পরিচিতি-
- বর্নাঢ্য,বৈচিত্রময় ও সংগ্রামী জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নূরুল হুদা ডিউক ওরফে ডিউক হুদা চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে পৈতৃক বাসভবন।১৯৬৩ সালের ২৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন,তার পিতা ডাক্তার রিয়াজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন,মহান ভাষা আন্দোলন,মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য (এম.এল.এ.),তাঁর পেশা ছিলো ডাক্তারী নেশা ছিলো নিঃস্বার্থ জনসেবা,তার মমতাময়ী মা খোদেজা বেগম ছিলেন সুগৃহিনী ও সন্তান অন্তপ্রাণ। ডিউক হুদা হাট বোয়ালিয়া প্রাইমারী স্কুল,কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ,কুষ্টিয়া জেলা স্কুল,কুষ্টিয়া মুসলিম হাই স্কুল,হাট বোয়লিয়া হাই স্কুল,কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ ও সমাপন করেছেন। ডিউক হুদা পেশাগত জীবনে কখনো ব্যবসা বানিজ্য কখনো সাংবাদিকতা কখনো প্রবাসী ছিলেন,বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীর এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। লেখালেখি ডিউক হুদার পেশা নয়,মনের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। দেশের প্রতি,মানুষের প্রতি,সমাজের প্রতি ভালসাবাসা তার লেখার প্রাণশক্তি। মানবতাবাদী বিপ্লবী কবি ডিউক হুদার মধ্যে দেশপ্রেমের মানবপ্রেমের যে অগ্নিশিখা জাজ্বল্যমান তা পাঠকের মনের মধ্যেও জ্বলে উঠবে এই আশা নিয়েই তার এই লেখা এবং এর প্রকাশ।