একছত্র বিদ্রোহী কবির প্রতি
-দীপু রায়
♦♦♦♦♦♦♦
তোমার বাণী আজও ধ্বনিত হয়
অন্তরের অন্তঃস্থলে–
কত সহজ সরলভাবে তুমি লিখে গেলে মানবতার বাণী- ” ..মিথ্যা শুনিনি ভাই/এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই।”
“মানুষের চেয়ে বড় নাহি কিছু/নহে কিছু মহিয়ান।”
তোমার উপলব্ধীই আজ জগৎ করুক অনুধাবন-“অসির চেয়ে মসিই বড়”।
তোমার ক্ষুরধার লেখনীর আঘাতে ধ্বংশ হোক
ধর্মোন্মাদ ভন্ডদের কারবার..
তোমার বিদ্রোহি সত্ত্বার সুউচ্চ আদর্শের কাছে
নতজানু হয়ে পড়ুক জগৎের স্বার্থপর পুঁজিবাদ,ধর্মোন্মাদ,বিভেদকামি প্রতারকদের দল..
মানবতা আজ বড্ড অসহায়..
“ধর্ম-ধ্বজা উড়ছে আজও টিঁকির গিঁটে দাঁড়ির ঝোপে।”
আজ তোমায় ভীষণ প্রয়োজন,
ফিরে এসো কবি..
বাজাও তোমার “অগ্নিবীণা”
সাম্য-মৈত্রী-ঐক্যের আবহে
মুছে যাক সকল দ্বন্দ্ব-দ্বেষ আর ঘৃণা..
আসমুদ্র হিমাচল তোমার বাণীতে ধরবে একই সুর
দৃপ্ত কন্ঠে বলবো আবার –
“গাহি সাম্যের গান
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান।
যেখানে আসিয়া মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিশ্চান।
গাহি সাম্যের গান..”
কবি লহ প্রণাম..।
♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
*দীপু রায়*, জন্ম ১২ই জানুয়ারি ১৯৯২, পিতা দীনেশ রায়,মাতা স্বর্গিয়া রজবালা রায়, সাম্মানিক স্নাতক(ভূগোল), স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা(গ্রামোন্নয়ন), ঠিকানা: উত্তর রাঙ্গালিবাজনা, পোষ্ট: রাঙ্গালিবাজনা, থানা: মাদারিহাট, জেলা: আলিপুরদুয়ার। পেশা: সামাজিক নিরীক্ষা গ্রামীন সম্পদ কর্মি, মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লক, আলিপুরদুয়ার জেলা সামাজিক নিরীক্ষা দপ্তর। নেশা: রকমারি বই সংগ্রহ, সাহিত্যচর্চা, তাৎক্ষণিক বক্তৃতায় অংশগ্রহন। এছাড়াও বিদ্যালয় জীবন থেকেই সাহিত্য চর্চার ঝোক।আজ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,কবিতা সংকলন,ই-ম্যাগাজিন,ওয়েবজিন,ব্লগজিনে ছোটো গল্প,কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করাহয়।