প্রজ্ঞা

-লাবণী ধর

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল, কিছুই লিখতে পারলাম না।

ভাবনা আসছে, প্রতিফলন হচ্ছে না।

ভাষার রূপান্তরের সেই নেশাটার একটা অভাব যেন।

প্রশ্ন করলাম গুরুদেব কে –

” এমন তো হয় না – কেন কলম আটকে যাচ্ছে আমার?”

গুরুদেব হাসিমুখে বললেন –

” গভীর ভাবের অভাব”

বললেন – ” প্রজ্ঞা”

অনুভবের তলানিটুকু পান করতে হয়।

শিকড়ের গভীরতায় গাছের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।

জীবনের মূলে শিকড়ের টান প্রত্যেকেরই।

আয়নার পর আয়না বদলালেও সেই সত্তার মুখ একই থাকে।

বলে উঠলেন –

“অনেক পড়তে হবে তোকে”

“নিজেকে জানতে হবে”

“ভাবনাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে”

কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন :

” মনের ভেতরে মন ডুবে যায়,

বুকের ভেতর বুক

আকাশ – নীলে স্বপ্ন উড়ে –

সবুজ ঘন মুখ”

( ফুলে নয়, শিকড়ে আছি)

ওই শিকড়ের নামই ” প্রজ্ঞা”, বুঝলাম।

নিজেকে প্রজ্ঞায় ডুবিয়ে, জগৎকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেই হয় স্রষ্টার সৃষ্টি।

জীবনের ওঠাপড়ায়, গ্লানিতে শৈল্পিক সিদ্ধি হারিয়ে ফেললে চলবে না।

আমি স্তব্ধ হয়ে শুনছিলাম…

এভাবেই কলম চলে আপন খেয়ালে।

আজ প্রজ্ঞা অর্জনের এক শপথ নিলাম।

আরো অনেক জানতে হবে, পড়তে হবে, ভাবতে হবে।

তবেই জেগে উঠবে প্রজ্ঞা,

তাতেই জীবনের মাধুর্য ও সৌন্দর্য অনুভূত হয়।

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

কবি পরিচিতি:

আমি লাবণী ধর, হায়দ্রাবাদে থাকি। চাকুরিরত। লেখা আমার প্যাশন। এর মধ্যে থেকে অক্সিজেন পাই।

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*