একান্তে ভাবনা
-ভদ্রাবতী বিশ্বাস
◊◊◊◊◊◊
নীল আকাশে মেঘের ভেলায়
ভাবনারা মোর সাথী,
মনের খাঁচায় দাপাদাপি
হইতাম যদি পাখি।
বিধাতার অপরুপ সৃষ্টি
দেখিতাম নয়ন ভরে,
ইচ্ছা হলে উড়িয়া যাইতাম
তেপান্তরের পারে।
সাত সমুদ্র তেরনদী পারে
অপেক্ষায় রাজকন্যা,
প্রেমের পসরা ডানায় জড়িয়ে
মাগিতাম সেই অনন্যা।
নিরালে বসে মনের হরষে
গাইতাম প্রেমের গান,
হৃদয়ের ব্যাকুলতা ব্যক্ত করিতে
লাগিতনা কোন তান।
নদী,পাহাড়, গিরি দেখিবার
ছিল আজন্ম বাসনা,
উত্তর মেরু দক্ষিন মেরু
সেও ছিল কল্পনা।
ডানা ঝাপটিয়ে আকাশে ভাসিতাম
গাঁয়ে মাখিয়া নীল,
রংধেনুর ঐ সাত রঙের সাথে
সূর্য্যালোর কত মিল।
সাদা-কালো মেঘের লুকোচুরিতে
হারিয়ে যাইতাম তায়,
আকা-বাঁকা সারিতে ভাসিয়া যাইতাম
মৃদু-মন্দ বায়।
মুহূর্তের মধ্যে দেখিয়া লইতাম
কোথা কার সীমানা,
দ্বিধাহীন ভাবে হারিয়ে যাইতে
লাগিতনা কিছু শোনা।
ইচ্ছা খুশী আনন্দ সাধে
কাটিয়া যাইতো দিন,
হিংসা-দ্বেষ হানাহানি গাঁয়ে
লাগিতনা কোন দিন।
আপন সুরে গাইতাম ভোরে
ঊষার আগমনি গান,
কিচিমিচি সুরে সন্ধ্যারতি
সারিতাম দিবাবসান।
◊◊◊◊◊◊
কবি পরিচিতি-
ভদ্রাবতী বিশ্বাস। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর আমার জন্ম। পিতা: স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা: স্বর্গীয় নীলিমা রানী বিশ্বাস। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে বি.এস. সি(সম্মান) এম এস সি(ভৃগোল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করি।চাকুরী জীবনে প্রথমে টাওরা হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করি ।কিছুদিন পর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই।পর পরই কেশবপুর মহিলা কলেজে সুযোগ হয়।বর্তমানে আমি এখানে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছি।পাশাপাশি লেখালেখি করি।কবিতা লেখা আমার খুব পছন্দ।