মানবতা আজ গল্প
-মিস্টি অধিকারী সুপ্রিয়া
↔↔↔↔↔
মানবতা সেতো শুনেছিলাম
অনেক কাল আগের কথা!
শুনতে কিছুটা ঠাকুমার মুখে
গল্পকথন শোনার মত মনে হয়।
এখন ঠিক চোখে দেখা যায় না।
মানবতা আসলেই কি?
আজ সবাই যেখানে স্বার্থের পিছনে ছুটে বেড়ায়,
স্বার্থ ছাড়া একপাও চলি না,
সেখানে মানবতার কথা বলা,
সেতো কেবলি হাঁস্যকর বলে মনে হয়।
এখন শুধু মানুষ নামের মানুষ আছে,
কিন্তু হারিয়ে গেছে মনের মনুষ্যত্ব বোধ।
নিঃস্বার্থ ভাবে কেউ সাহায্য করতে চায় না
শুনতে চাইনা মনবতার ডাক।
আজ কেউ বিপদে পড়লে আমরা সবাই
দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়,
কারন আমরা খুব ব্যস্ত নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য।
একবিন্দু সময় নেই কারো জন্য।
মনে মনে গর্ব করে বলি
নিজে বাঁচলে তবেইতো বাবার নাম! তাইনা?
যেখানে স্বার্থে আঘাত লাগলেই মানবতার বিসর্জন হয়,
ভুলে যায় সম্পত্তির কারনে সম্পর্কের টান,
ভাই ভাইকে ছেড়ে কথা বলি না
স্বামী স্ত্রী কেউ কাউকে ছাড়েনা, বোন ভাইকে ছাড়েনা,
সেখানে অন্য কারো কথা বলাইতো বাহুল্য!
মানুষ এখন সবসময় মুখোশ পড়ে আছে
কে ভালো কে মন্দ বোঝা বড্ড দায়।
শুধুই দেখা যায় হারজিতের লড়াই
কে কাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে,
সেখানে মানবতা বলে আর কিছুই বেঁচে নেই।
↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি :
নাম : মিস্টি অধিকারী সুপ্রিয়া, স্বামীর নাম: চন্দ্রজীৎ অধিকারী, দুই সন্তানের জননি, কোলকাতা -49 বিরাটী নিমতা
দক্ষিণ প্রতাপ গড়।