মেঘ
-ভদ্রাবতী বিশ্বাস
♦♦♦♦♦
মেঘের ডাকে ময়ূর নাচে
বাহারী পেখম মেলে,
চাতক পাখি জলকে যাচে
মেঘের সাড়া পেলে।
মেঘ হলো জীবন দায়ানী
ধুলির ধরা মাঝে,
বৃক্ষলতা প্রান ফিরে পায়
সবুজে সবুজে সাজে।
ঘনকালো মেঘ ডানা মেলে ওড়ে
নীল আকাশের গায়,
সাতরঙে রেঙে ওঠে যদি
সূর্যের দেখা পায়।
অনিন্দ সুন্দর রুপের মহিমা
মহোনীয় শোভা,
মেঘের অঙ্গে তরঙ্গে তরঙ্গে
দোলায় মনোলোভা।
বুকের ভিতর বিন্দু বিন্দু
জলকনার ছড়াছড়ি,
উড়ুউড়ু খেলায় মত্ত আবার
ক্ষনিক জড়াজড়ি।
গুড়ুম গাড়ুম কথা বলে
বিজলীর আলো জ্বেলে,
অবিরাম ধারায় গলে পড়ে
ভাবে গম্ভীর হলে।
সাদাকালো মেঘ রাজারানী সাজে
গায়গায় হেলান দিয়ে,
চুমাচুমি আর কনাকানি করে
মনের মাধুরী নিয়ে।
বৈচিত্রময় মেঘের খেলা
গগন পানে চলে,
বৃষ্টি হলো মেঘের কন্যা
মেঘ বালিকা বলে।
♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
ভদ্রাবতী বিশ্বাস। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর আমার জন্ম। পিতা: স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা: স্বর্গীয় নীলিমা রানী বিশ্বাস। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে বি.এস. সি(সম্মান) এম এস সি(ভৃগোল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করি।চাকুরী জীবনে প্রথমে টাওরা হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করি ।কিছুদিন পর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই।পর পরই কেশবপুর মহিলা কলেজে সুযোগ হয়।বর্তমানে আমি এখানে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছি।পাশাপাশি লেখালেখি করি।কবিতা লেখা আমার খুব পছন্দ।