হয়তো পাপের পরিণাম
-রুদ্রনীল রাজিব
↔↔↔↔↔
স্রষ্টার লীলাময় ধরিত্রী মাঝে
সমবেত ভালবাসা ধূলিস্মাৎ হয়ে স্বর্গপুরী আজ
হানাহানি,ভেদাভেদ নিয়ে
তাণ্ডবনৃত্যের অধিরোহণে মানবজাতি।
এই পৃথিবীর বুকে বসবাস বিচিত্র যতো জীব
অনন্য সবার মধ্য মানবজাতি।
স্রষ্টা পৃথিবীকে পরিচালনার জন্য
বাকশক্তি,বুদ্ধি দিয়ে
মানুষ কে শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিয়েছেন।
তিনি দেখেছেন,
একটু একটু করে শোষণে-পোষণে মানবসমাজ
নীলনকশায় স্বীকার করে দুর্গ গড়ে রাবণেরপুরী।
নীতিকর্ম ভুলে,করে চলেছে নির্মম লুটতরাজ
রাজত্ব পেয়ে অপশক্তির রাজসিংহাসন।
স্রষ্টা আজ জাগ্রত হতোদ্যমে,
মর্মান্তিক অন্যায় অবিচার দেখে।
তাই হয়তো এই সিদ্ধান্তে তিনি অবিচল,
নতুন রূপে আঁকতে ভূচিত্র।
ফলস্বরূপ আবির্ভাব ভয়ানক এই মহামারী,
যার কারণে লক্ষ-লক্ষ প্রানের বিনাশ।
যে বিজ্ঞানবিদ আকাশ বাতাস করে প্রদর্শন,
যে গবেষক হাজারো রোগ করে নাশ,
সবাই আজ হতবুদ্ধি।
স্রষ্টা এক ও অদ্বিতীয় নিজের ভুবন জুড়ে
এক নিমিষে সৃষ্টির ছন্দপাত করতে জানে।
তিনি দেখেছেন,
রাস্তার ফুটপাতে পড়ে থাকা অনাথ শিশুটির অযত্ন
একটি পয়সা পেতে পেটের দায় অবিচারে স্বীকার।
দেখেছেন,
বিধবা মায়ের অন্ধের যষ্ঠি জুলুমে জর্জরিত হয়ে রক্তাক্ত পিঠে পীড়ায় ভোগে গরীব-গয়বরে,
ভিত্তশালীর ভয়ে মুখ লুকিয়ে
শ্রেমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কায়ক্লেশে কাঁটে দিন।
দেখেছেন,
কঠোর অধ্যবসায়ে নিজ হাতে গড়া সন্তানটি কে
যার অবহেলায় আজ বৃদ্ধাশ্রমে
দেবতুল্য কতোশতো মাতা-পিতা।
আরও দেখেছেন,
ধর্মের নীতিমালা ভুলে পাপের জলে গঙ্গাস্নান,
ক্ষুধার্ত দস্যুদলের হাতে কতো নারী হারালো মান।
এই ধরাধামে পাপ তাপের কুণ্ডলী দেখে,
হয়তো আজ তিনি বিমুখ।
জনশূন্য পৃথিবী গড়তে,
হতে পারে নিয়েছেন এই সিন্ধান্ত।
অরুণোদয় প্রভাতের আলোয়,
বিচ্ছুরণ হবে পৃথিবীর আঙ্গিনা।
হতে পারে সেই আলোয় গাঁ ভাসাতে,
কেউ থাকবো না দাঁড়িয়ে সন্নিকটে।
নিজ রেখাপথে ঘুরবে পৃথিবী,পাপের নিশ্চিহ্ন করে।
তার জন্যেই হয়তো দুর্যোগের ঘনঘটা,
হতে পারে অন্তিম এই যুগের শেষ,
অন্য রূপে নব্য যুগের সূচনা।
↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি:
নাম:- রুদ্রনীল রাজিব, পিতার নাম:- সুধীর চন্দ্র সরকার, মাতার নাম:- সাবিত্রী বালা সরকার, গ্রাম:- নগদাপাড়া, থানা:- মধ্যনগর জেলা:- সুনামগঞ্জ।