এবং আমি নারী
-পাদক
⇔⇔⇔⇔
সেদিন বর্ষায় ভিজতে গিয়ে যেই আমি পা পিছলে পড়েছি…
মুহুর্তের মধ্যে তোমার সুচতুর বলিষ্ঠ একটি হাত
বাজ পাখির মতো কোমর স্পর্শ করে আমাকে ধরে ফেললো….
আমি সোজা হয়ে দাড়ানোর পরেও
তোমার হাতের আঙ্গুল গুলো কি যেন সে খুঁজে চলেছে তখনো ঠিক নাভির কাছাকাছি..
শরীরে কাজে আমার কোমরটাকে সজরে চেপে ধরে মেদুর স্বরে বলছিলে..
আমি আছি না!আমি তো পাশে আছি, পাশে থাকতে পড়বে কেন?
আমার অবুঝ হৃদয়, বৃষ্টি ভেজার উন্মাদনায় বলেছিল..
তুমি আছো বলেই তো এমন বৃষ্টিতে আমি বার বার পা পিছলাতে রাজি।
সেদিনের মেলাতে নাগরদোলায় চড়ে যেই পাক খেয়ে ভয়ে চিৎকার করে উঠেছি…
অমনি তোমার অভেদ্য বাহু দুটি আমাকে জড়িয়ে ধরে সাহস দিতে থাকে..
আমি সে সাহসে সাহসী হওয়ার পরেও ঐ অভেদ্য বাহু আমার শরীরের কোন তাপ অনুভব করতে থাকে..।
বুকের মধ্যে মাথাটা চেপে ধরে মৃদু হেসে তুমি বলেছিলে.. আমি আছি না!
আমি তো পাশে আছি,এতো ভয় কেন..আমি থাকতে এতো ভয় কিসের?
নব বসন্তের উচ্ছলিত আমার মন বলেছিল..
তুমি আছো বলেই তো এ নাগরদোলায় আমি বার বার চড়তে রাজি।
সেদিনের নির্জনতায় তোমার শত চুম্বনে সমস্থ শরীরে আমার শিহরণ..
বুকের উপর বুক রেখে তোমার প্রলুব্ধ চোখের দৃষ্টি কি যেন খুঁজতে থাকে উদমত্তায়..
তখন আমি কি অজানা আতঙ্কে বলেছিলাম.. না..না..এসব এখন নয়।যদি কিছু হয়ে যায়?
তুমি চোখের উপর রেখে ঘণ দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে বলেছিলে…
ভালোবাসি, খুব খুব খুউব.. ভালোবাসি।
আমি আছি না!
আমি পাশে আছি না পাগলী!
তবে এতো ভয় কিসের?
মাতৃত্ব সুখে এ নারীর অন্তরাত্মা হয়ে বলেছিল..
তুমি আছো বলেই তো আমি এমন শত চুম্বনে পাগলী হতে শত শত বার রাজি।
আজ তুমি কি বলছো..!
আমাকে তুমি গ্রহণ করতে পারবে না..
পাশে থাকলে তোমার সম্মান চলে যাবে?
আমার গর্ভের সন্তান তোমার নয়!
তুমি এ সন্তানের পিতা নও?
হায় রে পুরুষ,এ কেমন পাশে থাকা তোমাদের…?
এ কেমন ভালোলাগা, ভালোবাসা তোমাদের..?
আসলে তোমরা পুরুষের মুখোশে দেহলোভী মেরুদন্ডহীন মিথ্যাচারি কাপুরুষ…
তবে শোনো হে আমার বীর পুরুষ..,
আমি নারী, দুর্বল নই, ভীরুও নই।
মাতৃত্ব শক্তির জোরে বলছি..এ সন্তান আমার।শুধু আমার।
তাই কোন কাপুরুষের সাহায্য ছাড়াই এই মা তার পিতৃহীন সন্তানের জন্ম সে দেবেই।
⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতিঃ
পাদকঃ(জন্ম-১০/০৩/১৯৮৪খ্রীঃ) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনা জেলার স্বরূপ নগর নামক প্রত্যন্ত গ্রামের এই তরুণ কবি পিতা-মাতার জেষ্ঠ্য পুত্র। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনার্স(রাষ্ট্রবিজ্ঞান), এম.এ পাশ করেছে। পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে প্রিয়জনের স্নেহ ভালোবাসা ও প্রেরণাকে পাথেয় করে শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালিখি চালিয়ে যান। সাম্প্রতিক বেশ কিছু শারদীয় পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে এবং যৌথ বইও প্রকাশিত।