নবান্ন
-মাই ফেয়ার চৌধুরী
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
হেমন্তের সকালের শিশির ভেজা সবুজ ঘাস,
সবুজ ধানের শীষে সোনালী রঙের সাজ।
সোনা রোদের কিরণে চিকচিক ধানের শীষ,
পাখিরা ঝাঁক বেঁধে উড়ে দিয়ে যায় শিস।
সোনালি ফসলে কিষাণের হাসি মুখ ঝলমল,
ক্ষেতের পাশে ঝিলের স্বচ্ছ জলে টলমল,
কালো কাকের সারি বসে করে শোরগোল।
প্রজাপতি রঙিন ডানায় উড়ে নৃত্যের ঢং,
প্রকৃতি অপরূপ সাজে রকমারি রং।
গাছের পাতা নড়ে শনশন মৃদু হাওয়ায়,
মাঝি পালতোলা নাও বয়ে চলে কিনারায়,
দূরের বটের মূলে রাখালি বাঁশরী বাজায়।
শুভ্র আকাশে গাঙচিল শালিকের ঝাঁক,
দিঘির জলে মাছরাঙ্গা শিকারি ফাঁদ।
ঢেঁকিতে ধান ভাঙ্গে কিষাণী বধু,
নতুন চালের পিঠা তৃপ্তির মধু।
নাটাই ঘুড়ি হাতে দুষ্টু ছেলের দল,
দুপুরে কিশোর-কিশোরী নেই কারো ঘুম,
উঠোনে কানামাছি গোল্লাছুট লুকোচুরি,আর
সাহেব বাবুর বৈঠকখানা খেলার ধুম।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
মাই ফেয়ার চৌধুরী, পিতা-রমজু চৌধুরী, মাতা-লায়লা বেগম ,আগ্রাবাদ সি,ডি,এ,আবাসিক এলাকা, ডাকঘর -বন্দর
পুলিশ ষ্টেশন -ডবলমুরিং, জেলা-চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ।
ফেসবুক লেখক বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় লেখার হাতে খড়ি। একজন সাহিত্য অনুরাগী হিসাবে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে একটু অবসরে ভাবনার অনুভূতি গুলি কাব্য আকারে লিখতে প্রকাশ করি। ভ্রমণ,গান শোনা,অজানা কে জানা,আড্ডা দেয়া শখ।প্রকাশিত একক বই, (১)অন্তিম বেলায় রক্তিম আভা। (২)আমার অক্ষরে তুমি অক্ষয়
প্রকাশিত যৌথ বই, (১)ভাঙ্গা ফাগুনের হাতছানি, (২)রক্তঝরা অশ্রু, (৩)মানচিত্রের বিনিদ্র রজনী (৪)দীর্ঘ অনুভূতি