ঈশ্বর

-রনি মহাপাত্র

⊗⊗⊗⊗⊗⊗

ঈশ্বর কবে হবে তোমার আবির্ভাব

কেউ বলে তুমি থাকো মন্দির মসজিদ গির্জায়,

আজ বিশ্বে এসেছে নতুন মহামারী বিপর্যয়।

তাই আজ বিপন্ন মানুষ পেতে চায়,

জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তোমার আশ্রয়।

তুমি তো ধরণীর সৃষ্টিকর্তা,

তবে কি দিতে চাইছো তুমি কোনো বার্তা?

“প্রভু”

মানুষ তুমি পৃথিবীতে এসে ভেবেছিলে আমিই

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব,

বাকি সব নির্জীব।

কি করোনি নির্মম ভাবে কেটেছো গাছ

বাড়িয়ে দিয়েছে সূর্যের উত্তাপ।

আকাশে বাতাসে বিষাইছো বিষাক্ত বায়ু,

কমিয়ে দিয়েছে জীবের আয়ু।

তোমাদের মধ্যে নেই মনুষত্ব

তোমরা আজ নিজেদের মধ্যেই হিংসায় আসক্ত।

মারছো পশুপাখি

কি আর করতে রেখেছো বাকি।

গর্ভবতী হাতির পেটে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে করেছো খুন,

কি আর রেখেছো বাকি বিশ্বে জ্বালাতে আগুন।

হিংসা আর অহংকারে হয়েছো তোমরা অন্ধ,

লোভ লালসায় মানুষে মানুষে করছো যুদ্ধ।

যখন কোন অসহায় প্রাণী বা মানুষ পায়না খাদ্য চিকিৎসা, তখন তুমি ঘুরিয়ে নিয়েছো মুখ,

নিজেই ভোগ করেছ সর্বসুখ।

সর্বক্ষণ কিভাবে ঠকাবে করেছো নানান

চিন্তা আর ফন্দি,

মনে নেই বৃদ্ধ মাকে খেতে না দিয়ে রেখেছিলে ঘরবন্দি।

যে মা বাবা ছোট থেকে বড়ো করেছে কতো পরিশ্রমে,

তুমি তাকেই পাঠিয়েছো বৃদ্ধাশ্রমে।

তুমি নিজেই ভাগ করেছো ধনী গরীব নানা জাতিভেদে,

এসব কিছু করার সময় মনে ছিল না আগে।

স্বার্থপরতার চরম গণ্ডি পার করেছো তুমি,

এবার দেখো কি করতে পারি আমি।

যতই তোমরা হও না শক্তিশালী মানুষ অহংকারী,

তুমি তো শিশু আমি যখন ভয়ংকরী।

তোমাদের কোন কাজে লাগবে না যতই থাকুক অর্থ,

আমি যদি না চাই তোমাদের বেঁচে থাকা হয়ে যাবে ব্যর্থ।

মানুষ তুমি নিজের স্বার্থের জন্য আমাকে করো ভক্তি

আর সমাজে দুর্বলের প্রতি দেখাও নিজের শক্তি।

“মানুষ”

তাই কি,,,

তুমি ছাড়ছো না ধনী, গরীব, মন্ত্রী থেকে আমলা, নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব।

গোটা দুনিয়া দাঁড়িয়ে দেখছে শুধু তোমার নির্দয় দৃশ্য।

তাই কি তুমি দেখাতে এসেছো ভয়?

এখন বলো কি আছে মোদের বাঁচার উপায়।

তুমিই তো করেছো প্রভু গোটা বিশ্বের সৃষ্টি,

এখন কি তুমি দেবে না মানুষের প্রতি দৃষ্টি?

তবে যে শুনেছি মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করে

কথাটা কি সত্যি!

“প্রভু”

কথাটা অবশ্যই সত্যি

যদি হিংসা বিবাদ ভুলে আনতে পারো শান্তি।

যদি মানুষের মধ্যে ফিরে আসে সততা মানবতা,

একতা হওয়ার শক্তি,

তবেই পেতে পারো জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি।

(সব চরিত্র কাল্পনিক)

⊗⊗⊗⊗⊗⊗

কবির পরিচিত-

নাম রনি মহাপাত্র কবির আসল নাম উত্তম মহাপাত্র বয়স 35 বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের বাবুয়া গ্রামে পড়াশোনা প্রথমে কোলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে পরে কলকাতায় ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে ITI করেন বর্তমানে কবি একজন ব্যবসায়ী কর্মসূত্রে কলকাতায় বসবাস করেন। এবং কবি বিভিন্ন সমাজের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেন সর্বদায়। সমাজের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সমাজ সংস্কার মূলক কবিতা লেখা কবির মূল উদ্দেশ্য। কবির উল্লেখযোগ্য কবিতা গুলি হল ভগ্ন সমাজ, আজব রাজার দেশ, চাষী, প্রশ্ন, মূল্য, সর্বহারার কান্না, ইত্যাদি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*