চন্দনা

-পপি প্রামানিক

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

চন্দনা!

কি মিষ্টি নাম!

যেন মমতাময়ী মা,

মাতৃরূপী নারীর মতো একটি নদী।

রূপের জৌলুসে ছিল পরিপূর্ণ ভাবে টইটম্বুর—

নিজেকে উজার করে বিলিয়েছে অন্যের তরে।

যার সাথে সেই ছোট্ট থেকেই গড়ে উঠেছে আমার সখ্যতা।

কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সে হারিয়েছে তার যৌবন!

বৃহদাকার দেহটি ক্ষুদ্রাকার হতে হতে —-

সরু জরাজীর্ণ মৃতপ্রায় যার অবস্থা।

শুকিয়ে খাক হয়ে থাকে প্রায় সারাটি বছর!

বর্ষায় যতটুকু স্বচ্ছতা ফিরে আসে —-

ততোটুকুতে সে আর খিলখিলিয়ে হাসে না,

পূর্ণিমা রাতের চাঁদের আলোর বিচ্ছুরণ –

আর তার ঢেউয়ের সাথে খেলা করে না,

সকাল সাঁঝের রক্তিম সূর্যটা এখন

আর তার হৃদয় স্পর্শ করে না,

তার উপর আর বহে না বাতাস,

সেও আর খেলে না উন্মাদনায়।

কোনো নৌকা চলে না তার বুকে,

মাঝিও গাইতে পারে না মনের সুখে।

আমরা মানুষরাই যত্ন করে নষ্ট করেছি মাতৃরূপী নদীকে।

আমাদের ময়লা-আবর্জনা, জরাজীর্ণতা বুকে ধারণ করে,

বড় বড় অট্টালিকার ভার বহন করে —-

অত্যাধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় —

আজ সে যৌবন হারা অচল বৃদ্ধা!

যার রূপ যৌবনের আর কিছুই নেই বাকি।

তবুও রোজ ভালোবাসার ছোঁয়া খুঁজি চন্দনার বুকে —-

যার মাঝে মায়া আছে কায়াহীন,

ভালোবাসা আছে স্পর্শহীন।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতঃ

পপি প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ,কালুখালী, রাজবাড়ী। শখের বশে অন লাইনে লিখতে চেষ্টা করি।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*