যতদিন বেঁচে থাকবো

-আশীষ খীসা

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

প্রিয় মোর খাল-বিল,নদ-নদী,

ঘুড়ে বেড়াই সময় পাই যদি।

লাগেনা মোর বেলা অবেলা,

দেখি শুধু আমি প্রকৃতির খেলা।

সময় বয়ে চলে এভাবে মোর,

তবুও আমি দেখিনা চোখে ঘোর।

যতই ঘোর হোক তবু দেখি আলো,

ঘুরে বেড়াতে আমার লাগে ভালো।

প্রায় সময় বেড়াতে যাই নদীর ধারে,

নদ-নদী ডাকে মোরে বারে বারে।

চষে বেড়াই নিবিষ্টে মাঠ-প্রান্তর,

অপরূপ দৃশ্য দেখলে ভরে যায় অন্তর।

যেদিকে মন যায় সেদিকে দেহ চলে,

দেহ যে চলে একমাত্র মনের বলে।

মন হলো দেহের শাসক ও নিয়ন্ত্রক,

মন ও দেহ একে অন্যের পরিপূরক।

পথ চলতে মন চায় শুধু একা একা,

প্রকৃতি থেকে যায় অনেককিছু শেখা।

প্রকৃতিকে আমি খুব ভালোবাসি,

তাই প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে বেঁচে আছি।

প্রকৃতি আমার প্রাণ ও ভালোবাসা,

প্রকৃতিকে নিয়ে আমার একান্ত ভরসা।

যত বাধা আসুক প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে,

যতদিন বেঁচে থাকবো এই বৈচিত্র্যময় ভবে।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতিঃ

কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা,

মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর।

স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা,

উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে

স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড.

(১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা,জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা।তিনি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক- ২০২৩ ইং শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন।তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ ২টি এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থ ২৩টি এবং অন্যান্য গ্রন্থসহ মোট ২৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার,গীতিকার ও শিল্পী। উল্লেখ্য যে,তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক

পিচ অ্যাওয়ার্ড -২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের

জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩

সম্মাননা পদক পান।আন্তর্জাতিক কৃপা সাহিত্য পরিষদ

কর্তৃক কাব্য ভারতী উপাধি সম্মাননা-২০২৩ ও আগরতলা,ত্রিপুরা,ভারত থেকে আন্তর্জাতিক চাকমা ফাউন্ডেশন কর্তৃক সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ”কাব্য

জ্যোতি”হন।এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক কৃপা সাহিত্য

পরিষদ আগরতলা,ত্রিপুরা,ভারত থেকে”কাব্যজ্যোতি খেতাব” ২০২২ পান,সেরা কবি সম্মাননা-২০২২,যৌথ

কাব্যগ্রন্থের নামঃ”স্বপ্নের ডাক বাংলা”ডাক বাংলা

সাহিত্য একাডেমি,সম্মাননা স্মারক-২০২১,সূর্যসেনা

সাহিত্য পরিষদ,কপোতাক্ষ সাহিত্য ম্যাগাজিন কর্তৃক মনির চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার-২০২১,ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমি কর্তৃক সেরা কবি সম্মাননা-২০২১

গীরি সম্প্রীতি সাহিত্য পদক-২০২১,মানিক

বন্দোপাধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার-২০২২,অগ্নিবীণা

সাহিত্য পুরস্কার-২০২২,মাসিক নেত্রজল সাহিত্য

ম্যাগাজিন কর্তৃক বর্ষ সেরা কবি সম্মাননা স্মারক

-২০২২,সম্মাননা স্মারক-২০২২,ইউ এস বাংলা

সাহিত্য সম্মেলন,মিশিগান,আমেরিকা।

ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমি কর্তৃক সাহিত্য রত্ন সম্মাননা স্মারক-২০২২,শিল্পাঙ্গন সম্মাননা স্মারক

-২০২৩ ও পার্বত্য কাব্য সম্মাননা-২০২৩ এবং বীর চট্টলা কাব্য পরিষদ সম্মাননা-২০২৩,স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সম্মাননা স্মারক-২০২৩ পান।তরঙ্গ বার্তা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক একক কাব্য গ্রন্থ “কবিতায় কবির দর্শন”বইয়ের জন্য গ্রন্থ সম্মাননা পান।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*