
আনন্দধারা
-বিজয়া মিশ্র
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
প্রভাতের রবি ছড়ায় স্নিগ্ধ আলো
কাশের বনে নরম আলোর দ্যুতি
শিউলি,শাপলা,পদ্ম,শেফালিকায়
মাতৃবরণে প্রকৃতির প্রস্তুতি।
মাঠে কী অপূর্ব সবুজের কল্লোল
আমন এখন আহ্লাদি শিশুকন্যা,
দুলে দুলে হাসে মায়ের কোলে যেমন
তেমনই সারা মাঠ মাতৃস্নেহে পূর্ণা।
প্রভাতী আলোয় উঠোনের স্থলপদ্ম
স্বেতাম্বরী রূপে খুশি মাতোয়ারা,
ধীরে বেলা বাড়তেই দেখি গোলাপী
কোন সে জাদুতে হয়েছে পাগলপারা।
কচি দূর্বার গায়ে গায়ে হিম জমে
আগমনীর চরণ ধোয়াতে চায়,
সবুজ ঘাসে ফড়িংয়ের আনাগোনা
হিমেল পরশ মেখে লাফিয়ে বেড়ায়।
নব পল্লব কী ভীষণ উচ্ছসিত
সবুজে সবুজে বাড় বাড়ন্ত সংসার,
নবপত্রিকা অপরাজিতা লতায়
বেষ্টিত করে হবে ষোড়শীর উপচার।
বাতাসে এখন মায়ের চরণছন্দ
কী অপূর্ব সুরের দ্যোতনা শুনি,
মায়ের জন্য সাজানো বরণডালা
আলোর বেনু বাজায় আগমনী ।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ীর জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। নিত্য দারিদ্র, আশেপাশের কিছু মানুষের প্রাত্যহিক বিরূপ মনোভাব,কোনঠাসা করার প্রয়াস মিথ্যে করে বড় হয়ে ওঠা।একমুঠো ভাত জোগাড়ে আশৈশব লড়াই চিন্তা চেতনাকে পুষ্ট করেছে। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।