তব হাতের ছোঁয়া
-সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
বিমুর্ত চোখ সুদুরে তাকিয়ে কল্পলোকে,
আজও দাঁড়িয়ে বাতায়ন স্বপন আঁকে।
মম স্মৃতির এলবামে তব হাতের ছোঁয়া,
জাগোয় শক্তি আজও ওপারে যাওযা।
কে বলে তুমি নেই, তুমি আছো অন্তরে,
আজও কথা বলো সেদিনের মত করে।
টিং টং শব্দ হতেই দরজা খুলতেই মাত,
অপলক নয়ন মোহিত মন চাঁদের সাথ।
এখনও বিছানার চাদর বিছানো আছে,
এখনও দরজায় সেই নীল পর্দা দুলছে।
ডাইনিং টেবিল হতে ড্রয়িং রুমে সোফা,
সর্বত্র ছুঁয়ে যায় হাঁটি হাঁটি অশরীরী পা।
কখনো মধ্যদুপুরে কখনো সূর্যাস্ত পরে,
হাতছানি দিয়ে মিষ্টি মুখের হাসি ঝরে।
টেবিলের উপরে রাখা হাতের পান্দানি,
হৃদয় হাসে সেই হাস্যোজ্জ্বল মুখখানি।
আজও স্বপ্নে মগ্নে তব নিভৃত পায়চারি,
কখনো অভিমান কখনো আড়াআড়ি।
রান্নাঘরে শোনা যায় হাতের রিনিঝিনি,
পড়ে আছে চশমাটা আর হাতলখানি।
পুকুরের জল তরঙ্গ কার হরষে পরশে,
মনে হয় তুমি আছ ঘাটে এখনও বসে।
তব নিঃশ্বাস তব বিশ্বাস ঘিরে এই ঘরে,
হাতের ছোঁয়া মৃত্যু বিনা ভুলি কী করে!
স্মৃতিতে বহে আদর সোহাগের রজনী,
শেষকথা মতে দাঁড়াও আসছি সঙ্গিনী।
ভুবনের মতন সেই ভালোবাসা চাওয়া,
হোক অনুরাগের ছোঁয়া ফিরে পাওয়া।
তনু মনে সদা তব হাতের ছোঁয়া জাগে,
ধরণীর পরে আজও স্বপ্নের মত লাগে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ কবি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা ও মাতা হাজেরা বেগম) বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত রামপাল ইউনিয়নের জোড়ার দেউল গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই ছয় বোনের মধ্যে কবি ১১ তম। উত্তরসূরী হিসেবে স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ১০ বছর বয়স হতেই কবির লেখালেখির হাতে খড়ি। এছাড়াও পছন্দ দাবা, আড্ডা দেওয়া ও লেখালেখি করা। তিনি এক সময় প্রথম আলো ব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন এবং বর্তমানে ফেইসবুকে বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি সহ সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত।

