চাই পাঠকের সন্ধান
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈
মনের খোরাক পূরনে কবি কবিতা লিখে যায় ,
ছন্দে ছন্দে ভরিয়ে তুলেন তার মনের কথা কবিতায়।
পাঠক পাঠিকারা কবিতায় প্রাণ যাতে খুঁজে পায়,
প্রাণ দিয়ে সৃষ্টি কবিতা পাঠ করে রূপ রস খুঁজতে চায়।
কবি চায় পাঠকের সন্ধান ভুল ত্রুটি সংশোধনে,
কোথায় পায় পাঠক মন সেথায়
ঘুরে মন আনমনে।
কবিতায় প্রাণের সঞ্চারে মেতে উঠে আঁকে ছবি কত,
পাঠক বিশ্লেষণে কবিতার স্বার্থকতা হয় মনের মত।
পাঠক খুঁজে পাবো কোথায় সবার ভাবনা এক নয়,
এমন পাঠক কজন যারা কবিতা পাঠে মনোযোগী হয়।
গ্রন্থাগারের বইয়ে ধূলোবালি আছে জড়িয়ে ,
নেই পাঠক মন যন্ত্রযুগে দিয়েছে মোবাইল ধরিয়ে।
কবিদের লেখা পড়ে না কেউ পাঠকের সন্ধান খুঁজে,
কবিতা পাঠে ভুল ত্রুটি সংশোধন কজন বুঝে ।
লেখক লেখিকার সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছে অবিরত,
সবাই মুখবইয়ের পাতায় পাতায় লেখা দিতে নয় বিরত।
সাহিত্যের পাতা মূল্যহীন পাঠক মন খুঁজে পাওয়া দায়,
সমালোচনাতে কেউ নেই পাঠকহীন কবিতা পড়ে রয়।
লেখায় যদি না থাকে বিশ্লেষক সেই লেখা পায় না মান,
কবিমন শুধু নিজের লেখায় করে পাঠকের সন্ধান ।
≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু।

