অদৃশ্য ভয়
-কবি আব্দুল হামিদ সরকার
⇒⇒⇒⇒⇒
পৃথিবীর তরে, করোনার ভারে,
সমাজ-সভ্যতা আজ নড়-বড়ে।
লক্ষ কোটি প্রাণ ঝরে,
হতাশা-নিরাশার পদভারে।
রোগীকে ফেলে যাচ্ছে প্রিয়-জন,
জমে-না আর প্রেম আলাপন।
লোকালয়, জনপদ, শহর-বন্দর,
আজ কেবলই যেন নিথর।
নেই কোলাহল, উপচে পড়া ভিড়,
দূরত্বে পথচলা উন্মাদনা অস্থির।
অদৃশ্য করোনা থাক তুমি কোথায়?
থাক নাকি যথা হেথায়।
দমাতে তোমায় মোরা করব যুদ্ধ,
সচেতনতায় হব দৃঢ় আত্ম-শুদ্ধ।
আইন প্রশাসনেও হও না তুমি ক্ষান্ত,
মৃত্যুর মিছিল হয় যে ভারি বিশ্বের সর্বপ্রান্ত।
তোমার নিষ্ঠুরতায় বধিল লক্ষ প্রাণ,
গোসল ছাড়া ভরে কবরস্থান।
ঘাতক তুমি, নিষ্ঠুর, বর্বরতা,
শিকেয় উঠেছে তাই আতিথেয়তা।
চূর্ণ-বিচূর্ণ লক্ষপ্রাণ সংসার,
কর্মে-অচল, মোরা নির্বিকার।
তোমায় ধ্বংসে মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার,
কুপোকাৎ হবেই তুমি, হবে ছাড়খার।
আছে মোদের-চেতনার অগ্নি মশাল,
সরাব কোভিড-১৯ এর জঞ্জাল।
হে বিধাতা, রক্ষা কর মোদের,
জীবন কর সতেজ, টুটাও দুর্যোগের।
আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান বাঙালি,
বাজবে বাঁশি, হাসবে রৌদ্র সোনালী।
হাতে-হাত, প্রতিজ্ঞা করি সবে,
নাহি ভয়, সব এক কাতারেই রবে।
মোদের আছে শ্রম আর মেধাশক্তি,
করোনার “অদৃশ্য ভয়” থেকে মোরা পাব মুক্তি।
⇒⇒⇒⇒⇒
কবি পরিচিতি:-
জন্ম:- কবি আব্দুল হামিদ সরকারের জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী দেলুয়া গ্রামে,পহেলা ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে। পিতা মৃত আফতাব উদ্দিন সরকার ও মাতা মৃত মোাছাঃ হামিদা খাতুন। নব্বইয়ের দশকে এই কবির জন্মস্থান দেলুয়া গ্রাম রাক্ষসী যমুনার গর্ভে বিলীন হবার পর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জের সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শিক্ষা:-তিনি সোহাগপুর নতুনপাড়া আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৮৮ সালে মানবিক বিভাগে এস.এস.সি, বেলকুচি কলেজ হতে ১৯৯০ সালে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯২ সালে স্নাতক (পাস) ডিগ্রী লাভ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৪ সালে এম.এস.এস রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রী লাভ করেন।
সাহিত্য চর্চা:- তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক উপন্যাসিক। তিনি অসংখ্য কবিতা ও ছড়া রচনা করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ মতিহার ক্যাম্পাস ও রেল স্টেশনে বসে তিনি অধিকাংশ কবিতা/ছড়া রচনা করেছেন। এছাড়া হুরাসাগর নদীর উঠানের প্রতিবেশী গ্রাম ঐতিহ্যবাহী সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের সরষে ক্ষেতের আইল পথে ও বাড়ির পিছনে বয়ে যাওয়া আঁকা-বাঁকা খাল-বিলের শিয়রে বসে কবিতা/উপন্যাস রচনা করেছেন।