একুশটি জীবন্ত বসন্ত পেরিয়ে
-অভিজিৎ হালদার
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কথার জন্য কথা কেটে গেল জীবন থেকে
নকল সমীকরণ নকল চিহ্ন নকল হিসেব
মনের ভিতর হিমযুগ ক্ষত বিক্ষত
মানুষের চলার পথ শূন্য ধূপ জ্বলে আড়ালে
জিজ্ঞাসা নেই পূর্ণ – সামান্য উপলব্ধির নিয়মে সঙ্গীহারা
পিপাসার জল মরু শুষে নেয় হীনচেতা উৎসাহে
বস্তুগত কিংবা অবস্তুগত দর্শনে রাশি রাশি পরাজয়
ভুল হয় বুদ্ধির মহিমা। ক্ষোভ বিক্ষোভ কাব্যের অনুদান
অতিরঞ্জিত করলে ছাই – এর চেয়ে সুন্দর কিছু নেই
আমরা মানুষ বুঝি কিন্তু হুষ বুঝি না !!
বোঝা অবোঝার অজুহাত নিয়ে গেয়ো নিয়মে কেটে গেল
একুশটি জীবন্ত বসন্ত ; জীবন থেকে ⸻
হারিয়ে যাওয়া সময়ের তারিখের সংখ্যা দিয়ে ঢের বেশি উপলব্ধি জাগে
নিজের জন্য মানুষের জন্য অমানুষের জন্য⸻
নাক থেকে টপটপ করে ঝরে পড়ে তিক্ত নোনা জল
মানুষের আশীর্বাদ ভাগ করে নেওয়ার মতো যন্ত্র আমাদের নেই
প্রীতির ভাষা আমরা বুঝি না, শরীর খারাপে ওষুধ সেবন করি
যদি সব অসুখে ওষুধ সেবন করলে কাজ হতো ⸻তবে
মানুষের জীবনে দুঃখ হতাশা বেদনা কষ্ট এসব কিছুই থাকতো না !
মানুষ মুক্তি পেতো ⸻ শুধুই মুক্তির চেতনা অনুভব করতো।
বিষাদের সাগরে পৃথিবীর ভাবভূমি
শস্যের ক্ষেত হতে প্রেম বিশ্বাস অবিশ্বাস নক্ষত্রের অরণ্য
সবই জেনেছি। হাতের আঙ্গুল বেয়ে নেমে গেছে কত বিনিদ্র রাত্রি
এই পরিপূর্ণ হৃদয় বিষাক্তকীটের জন্মভূমি।
চোখে কত মৃত স্বপ্ন অপরিপূর্ণ
যাদের পোড়াতে কিংবা পোঁতার জন্য স্থানটুকু নেই
তাঁরা’তো অন্তরের ভিতর গুমড়ে মরে পিশাচ যন্ত্রণায়।
জাহাজের মাস্তুলে চোখ রেখে যেমন প্রেমিকা খোঁজা যায় না
তেমনি নৌকা চালাতে জানলেও কখনও মাঝি হওয়া যায় না !
আমরা সর্বক্ষেত্রে একমাত্র ভুক্তভোগী প্রাণী ; নিজের ক্ষুধা মেটাতে অপরের খাদ্য টানি।
একুশটি জীবন্ত বসন্ত পেরিয়ে
জীবনকে বুঝতে শিখেছি , বুঝে নিতে জেনেছি
জীবনে চলার পথে অনেক মানুষকে হারিয়ে যেতে দেখেছি
আবার কাউকে চোখের সামনে মরতে দেখেছি ; পারিনি প্রতিবাদ করতে
হাতদুটো বাঁধা ;- মুখ খুললেই নরবলি।
আমাদের জন্মের পথ এক কিন্তু মৃত্যুর পথ ভিন্ন ও বিচ্ছিন্ন।।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
লেখক পরিচিতি:-
জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালী ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে।
পিতা:- কার্ত্তিক হালদার
মাতা:- আরতি হালদার
শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিভাগের অনার্স স্নাতক।
লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে।
লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে।
বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)