আত্মকথা

– বিমান বিশ্বাস

〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉

যন্ত্রণার আবেশ শরীরে জড়িয়ে

পথের ধারে গুল্ম রাশি রয় চেয়ে,

পদদলিত পেষণ যন্ত্রের একমুঠো দীর্ঘশ্বাস!

আর, একাকীত্বের অনুভবে ভাসে সে আপন মনে।

পথিকের পদচিহ্নের স্মৃতি ভেজা সংলাপ,

দেহের অলিন্দে অলিন্দে বয়ে বেড়ায় সে শ্রাবণের ধারার মতন।

অস্তগামী মানব চেতনার গান

শোনে সে,

শোনে সে স্বপ্নিল সপ্তডিঙায় ভেসে মনের দীপশিখা জ্বেলে।

উপলব্ধির ছোঁয়ায় প্রেম ঝরে পড়ে তার

নেতিয়ে পড়া শরীরে।

ঝর্ণা ধারার মতো ঝরতে চায় সে অফুরান ভালোলাগা নিয়ে,

ঝঞ্ঝার যৌবনে ভেসে তিলোত্তমার বুকে।

অযাচিত তাড়ণায় জ‍্যোৎস্না আলোয় আলোকিত হতে চায়,

হারিয়ে যেতে চায় ডুবে যাওয়া বেলা শেষের সূর্যের মতোন।

যেমন করে স্রোতস্বীনি নদী, নিজেকে হারিয়ে ফেলে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে।

খুব ইচ্ছে করে তারও

কারো হৃদয় ঘরের ফুলদানিতে, একটু যদি সজ্জিত হতে পারে

এই আশায়!

কিন্তু সেই অহংকার আর আভিজাত্যের ঘেরাটোপে

শেষ হয় তার শেষ ইচ্ছে,

হৃদয় নীলাকাশ ছায়ে মরুদ‍্যানের মরীচিকায়।

রাত্রি শেষে আসে ভোরের শিশির ভেজা সকাল,

কোকিলের কুহুকুহু তানে শেষ হয় তার।

শেষ হয় তার স্বপ্নের প্রহর গোনা,

গচ্ছিত স্বপ্নেরা গা ঢাকা দেয় শূন্যতার মাঝে।

পথেই পড়ে থেকে চেয়ে দেখে

রৌদ্র ঝিলিমিলি নীলাকাশ,

সাজানো নাটকের হয় অবসান

নিঃশব্দে আগুনে পুড়ে ছাই হয়

ছাই হয় তার আগলে রাখা ভালোবাসা।

সে ভালোবাসা দিতে চেয়েছিল তার প্রিয়তাকে

কিন্তু পারলো কই!

〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉〈〉

কবি পরিচিতি-

আমি বিমান বিশ্বাস। পিতা- স্বর্গীয় নারায়ণ বিশ্বাস, মাতা- শ্রীমতী নির্মলা বিশ্বাস। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব‍্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত পানিহাটি সোদপুরের নাটাগড়ে। আমি ভূগোলে এম.এ করেছি। আমার লেখালিখির হাতেখড়ি করোনা কালীন সময়ে ০৬/০৪/২০২০ তে। লেখালিখির জগতে আসার পেছনে আমার কোনো মহাকাব্যিক আখ‍্যান নেই। হয়তো কালের নিয়মে আমার এই জগতে আসা। সেই থেকে আপনাদের ভালোবাসায় মনে যা আসে তাই লেখার চেষ্টা করি মাত্র। বাকিটা আপনাদের আশির্বাদ। আপনাদের আশির্বাদে কবিতা কুটির সাহিত্য পত্রিকা,ভাষাসরিৎ সাহিত্য পরিবার এবং নবজাগরণ সাহিত্য পত্রিকার তরফ থেকে সম্মাননা পেয়েছি। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে দুটো যৌথ কাব্য “মুক্ত আকাশ” এবং “মুক্ত বিহঙ্গ” গ্ৰন্থ প্রকাশ পেয়েছে। কোলকাতা থেকে যৌথ উদ্যোগে “স্বপ্নের উড়ান” কাব্য গ্ৰন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়। এছাড়া কিছু লিটল ম‍্যাগাজিনে কিছু লেখা প্রকাশ পেয়েছে। বিবেকানন্দ, শরৎচন্দ্র পড়তে ভালোবাসি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*