নিঃসঙ্গ প্রহর

-প্রীতি কণা বিশ্বাস

♥♥♥♥♥♥

একদিন,

আমিও ভুলে যাবো সবকিছু!

ভুলে যাবো ভালোবাসা কিংবা ব্যাথা-বেদনা….!

হয়তো,

আমিও একদিন ভেসে যাবো…

যেভাবে নদীর স্রোত ভাসিয়ে নেয় শ্যাওলা কিংবা কচুরীপানা।

অথবা,

হারিয়ে যাবো নিশী অবসানের

চাঁদের মত,,

ভুলে যাবো সব মায়া আর বন্ধন মমতার….!

যেমন করে মেঘ ঝরিয়ে বাদল

সুখী হয়।

কিংবা,

সবার অলক্ষে হারিয়ে যাবো গোপনে,,

খুব বেশী অপরাধ হবে কি

বলো তাতে?

যেমন ভাবে ডুবে গেছে রবি,শরৎ

কিংবা জীবনানন্দে!

না হয়,

জীবনের এইটুকু সময় আমার

হোক না বেদনা তীর্থ,,

না হয় ভাসালাম আপন তরী

একাকিত্বের মোহে,

কি বা ক্ষতি বলো তাতে!

আমি তো মানিয়ে নিয়েছি

ভোরের শিশির বিন্দু,,

দু’চোখে কাযজলের আবছায়া।

একটি বার,

দেখে যেতে চাও কি কেউ কতো সুখে আছি….!

তবে এসে দেখে যাও

সোনালী দুঃখের পরাভাব,,

দেখে যাও কালিহীন চোখ,

কান্নাভেজা অবয়ব খানা,,

নিশুতী রাত্রির একাকী যাত্রীর,

নিঃসঙ্গ প্রহর গোনা…!!

♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

আমি ০১/০৬/১৯৭৯ খ্রিঃ ভোলা জেলার পি,টি,আই রোডে বসবাসরত একটি হিন্দু সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। সার্ভিসের সুবাদ আমার ছোটবেলা কাটে পিরোজপুর জেলায়। পিরোজপুর সরকারী কলেজে লেখাপড়া শেষ করে সার্ভিস লাইফে পদার্পণ করি। তারপর বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হই। আমার একটি মাত্র কন্যা সন্তান । বর্তমানে আমি সার্ভিস করছি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে, অভয়নগর, যশোরে। সার্ভিসের পাশাপাশি একটি বেসরকারী অন লাইন টি,ভি চ্যানেল -৭ বিডি.কম, খুলনা জেলার ক্রসপন্ডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছি। যেমন-বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউএসএ, বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ২০১৯ সাল থেকে সাহিত্য জগতের সাথেও ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। সাহিত্যকে ভালোবেসে সাহিত্যের জন্য জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছি । বর্তমানে আমার কবিতা “কবিতার পাতা” ওয়েব ম্যাগাজিন,ভাবণা প্রকাশ সাহিত্য ম্যাগাজিন , কথামালা, সমাজবন্ধু নামক ম্যাগাজিনে আমার লেখা কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় কবি ও সাহিত্যিক পরিষদ ( জাকসাপ) বই প্রকাশনার মাধ্যমে “”” কবিতার ছায়াপথ””” নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং উক্ত বইটি আমার প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ।

1 thought on “নিঃসঙ্গ প্রহর -প্রীতি কণা বিশ্বাস

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*