কলঙ্কিনী বলে
-মৌটুসী চৌধুরী
♥♥♥♥♥♥♥
বাপের বাড়ি যাওয়ার সময় প্রত্যেক বার তোমার স্টেশন টা পেরিয়ে আসি ,
কখনো সাড়ে নটা বা কখনো লেট করলে সাড়ে দশ টাও হয় ,
অনেকক্ষন দাড়ায় – প্রায় আধ ঘন্টা —
অধীর হয়ে তাকিয়ে দেখি , যদি তোমার দেখা পাই
যদি এক কোণে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছো বা কাউকে স্টেশনে ছাড়তে এলে ,
যদি দেখা হয় —
কেমন দেখায় তোমায় এখন , আগেরই মত নাকি অল্প আলাদা ,
সিগারেটটা এখনও খাও নাকি অন্য কিছু আবার ,
গায়ের রঙ টা আগের মতো মিশমিশে কালো নাকি সামান্য উজ্জ্বল ,
ভীষণ প্রিয় ছিল কাল রংটা , কৃষ্ণের ন্যায় আবেগ ভরপুর ,
আজ রাধিকা সাজিয়ে বড় সাধ হয় ,
জানি , বৈবাহিক সীমারেখা দুজনেরই দোরগোড়ায়,
তবুও মন খুঁজে — প্রেম ,
সে যে বিবাহিত বা পরকীয়ার ভেদ বোঝে না , সে যে শুধু প্রেম চায় ,
রাধিকার ন্যায় কলঙ্কিত হতে চায় ,
বাঁশির সুর অয়নের দোরগোড়া ডিঙ্গাতে বাধ্য রাধিকা — তখন কি ভাববার শক্তি ছিল সমাজের তারকাটা ,
আমারও কান খোঁজে সেই গিটারের সুর ,
মন চায় আজ বিবাগী হতে ,
তবুও তারকাটাটা ডিঙ্গনোর সাধ্য হয়নি আজও ,
— ভুলতে চায় না মন অতীত ।
আজ যদি তোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাই ,
ভালোবেসে বুকে টেনে নিবি বল ,
নাকি কলঙ্কিনী বলে তাচ্ছিল্যে ভরিয়ে দিবি মোরে ।
♥♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি-
মৌটুসী চৌধুরী । বাবার নাম স্বর্গীয় শ্রী তপন রঞ্জন পাল ও মায়ের নাম শ্রীমতী মঞ্জুলা পাল । জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৮ ই আগস্ট ভারতবর্ষের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের আসানসোল শহরে । জন্ম , পড়াশুনা ও বড় হওয়া আসানসোল শহরেই। তিনি আসানসোলের গার্লস কলেজ থেকে বি . এ .পাস করেছেন। স্বামীর চাকরি সূত্রে গত ১৬ বছর ধরে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাঁচি শহরের বাসিন্দা । তিনি একজন গৃহ বধূ ও দুই সন্তানের মা । তার কিছু গল্প ও কবিতা কয়েকটি পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে । তিনি কম কথা বলেন , তাই মনের চিন্তা ধারা লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন ।