শেষ সময়ের দেখা
-হাসানুজ্জামান হাসান
♥♥♥♥♥♥
অবশেষে হলো দুজনের দেখা বহু বছর পরে
আশার আলো নিভিয়ে দিয়ে এলে শূণ্য ঘরে।
কিভাবে বোঝাই তোমায় হৃদয়ে রেখেছি আজও আঁধারে
জোয়ার গেলো চলে ভাটার কালে এলে ফিরে।
কতো রঙের স্বপ্ন দেখেছি জীবনে তোমায় ঘিরে
সময়কালে তুমি এলেনা আমার জীবনে ফিরে।
বহুবছর অপেক্ষায় রইলাম আমি তোমার প্রেমের তরে
তোমার বিহনে আছি বেঁচে অতৃপ্তিতে মন ভরে।
অবশেষে হলো দুজনের দেখা পুষ্প পল্লব হীনে
থাকলে দূরে সরে সজীবতা বজায় ছিল যেদিনে।
বিনিদ্র রজনী করছি আমি পার তোমার বিহনে
তোমার স্মৃতিগুলো কতোবার জেগেছে অশ্রু ভেজা মনে।
হৃদয় আমি দিয়েছিলাম বিলিয়ে সেদিন তোমায় চিরতরে
ভবিষ্যৎ স্বপ্নভরা আকাঙ্খা নিয়ে দিয়েছিলাম ঠাঁই অন্তরে।
তুমি মোরে বিরহের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলে
একাকী নিরানন্দে জীবন খানি করেছি পার অবহেলে।
জীবন প্রদীপ এবার হয়তো যাবে নিভে একেবারে
অবশেষে হলো দুজনের দেখা মোহনার শেষ কিনারে।
বিরহের সাগরে ডুবে শ্রীহীন হয়েছে জীবন খানি
জীবন প্রদীপ এবার কখন যায় নিভে কিজানি।
♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি-
আমি ভারতীয়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগণার বসিরহাট এর এক মফস্বল শহরে জন্ম এবং বসবাস। এখানে পড়াশোনা। পড়ালেখা করতে করতে কিছু লেখা লেখি করতাম কিন্তু সেভাবে কোনদিন লেখক কবি হয়ে উঠতে পারিনি। সুযোগের অভাবে জীবনের ৪৭টি বসন্ত গেলো কেটে। পড়ালেখা শেষ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা শুরু করি ২০০০সাল থেকে তখনও লেখার মতো সুযোগ পায়নি।২০১০সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি লাভ করি। বর্তমান সময়ে চাকরি এবং অবসর সময়ে চিকিৎসা সেবার কাজ করে যাচ্ছি।এরই ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখি ফেইসবুকে।