অনুভবে এঁকেছি যাকে

-বিমান বিশ্বাস

♦♦♦♦♦♦♦♦

মিছেই কেটে গেলো কতো বসন্ত

মহানির্বাণের আশায়,

আশ্চর্য শান্তিতে একাকী নির্জনে।

ভাবিনি কিছুই এতোকাল,

ভেবেছিলাম এই ঢের বেশ আছি

নিজেকে ভালোবেসে।

স্বর্গের সন্ধানে;

হৃদয়ে ফেলেছি তাবু হিমের পরশ গায়ে মেখে,

নির্জনে হেঁটেছি কতো ধানের ক্ষেতে।

চৈত্রের ভীড়ে কেটেছে কতো বেলা; শুনতে গেছি সমুদ্রের সুর; ডিঙ্গিয়েছি পাহাড়

তাদের শুনিয়েছি কতোই না বলা কথা।

মরণকে তুচ্ছ করে!

অনুভব করেছি

মেঘের কোলাহল গায়ে জড়িয়ে,

আবিষ্ট নীরবতার মাঝে

দখিনা সমীরণের ছোঁয়ায়

রাত ছিল বেশ মধুর;

নদীর ঢেউয়ের ইশারায় এঁকেছি কতো ছবি; দেখেছি কতো উজ্জ্বল নীলাকাশ।

সন্ধ্যের আঁধারে মেলেছি দু’চোখ নরম সবুজ আলোয়!

দেখেছি জোনাকির ফুলকি; শুনেছি পেঁচার ডাক,

ডালে ডালে বেঁধেছে বাসা কতোই নাম না জানা পাখি।

আজ ভাবি বসে

দেখি চেয়ে,

সূর্যের উজ্জ্বলতা গেছে হারিয়ে।

পৃথিবী ছেয়েছে আঁধারে গন্ধহীন পাপ রাশির ভরে,

দো পেয়ে জন্তুর বলাৎকারে শুনি কান্নার কলরব।

ইতিহাস আজ সূর্যের দিকে ধায়

ছড়ায় সে আগুনে পলাশ।

চেয়ে দেখি,

অবিশ্রান্ত মিথ‍্যের আলপনায়

হারিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসাবাসি।

সর্বদা ছুটে চলা মৃত্যুর কাছাকাছি,

খোলে না আর দ্বার গচ্ছিত জ্ঞানের রাশি।

ফাটল ধরেছে আজ রক্ত সুতোয়,

দিক চিহ্নহীন অনন্ত ছুটেছে তাই

পুষ্প দৃষ্টিহীন অন্ধ অমানিশায়।

তাই আজ বসে ভাবি,

মিছেই কেটে গেলো কতো বসন্ত

একাকী আনমনে উদাসী হাওয়ায়!

♦♦♦♦♦♦♦♦

কবি পরিচিতি-

আমি বিমান বিশ্বাস। পিতা- স্বর্গীয় নারায়ণ বিশ্বাস, মাতা- শ্রীমতী নির্মলা বিশ্বাস। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব‍্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত পানিহাটি সোদপুরের নাটাগড়ে। আমি ভূগোলে এম.এ করেছি। আমার লেখালিখির হাতেখড়ি করোনা কালীন সময়ে ০৬/০৪/২০২০ তে। লেখালিখির জগতে আসার পেছনে আমার কোনো মহাকাব্যিক আখ‍্যান নেই। হয়তো কালের নিয়মে আমার এই জগতে আসা। সেই থেকে আপনাদের ভালোবাসায় মনে যা আসে তাই লেখার চেষ্টা করি মাত্র। বাকিটা আপনাদের আশির্বাদ।

আপনাদের আশির্বাদে কবিতা কুটির সাহিত্য পত্রিকা,ভাষাসরিৎ সাহিত্য পরিবার এবং নবজাগরণ সাহিত্য পত্রিকার তরফ থেকে সম্মাননা পেয়েছি। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে দুটো যৌথ কাব্য “মুক্ত আকাশ” এবং “মুক্ত বিহঙ্গ” গ্ৰন্থ প্রকাশ পেয়েছে। কোলকাতা থেকে যৌথ উদ্যোগে “স্বপ্নের উড়ান” কাব্য গ্ৰন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়। এছাড়া কিছু লিটল ম‍্যাগাজিনে কিছু লেখা প্রকাশ পেয়েছে। বিবেকানন্দ, শরৎচন্দ্র পড়তে ভালোবাসি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*