ভাঙাগড়া
-নুপুর বিশ্বাস
∴∴∴∴∴∴∴∴
ভাঙছে পোড়ামন,ভাঙছে হৃদয়,
হারাচ্ছে ভালোবাসা,
ঘুণ পোকারা ওই মহাউল্লাসে
ঘর বেঁধেছে খাসা।
ভাঙছে বিশ্বাস,ভাঙছে সংসার
ঘরেতে জ্বলে আগুন,
মনেতে বয় না দখিনা বাতাস
নেইতো প্রেমের ফাগুন।
ভাঙছে স্বপ্ন,ভাঙছে নিষ্পাপতা
ভাঙছে মনের আঁশ,
অপ্রাপ্তির বোঝা বাড়ছে শুধুই
ওঠে গোপন দীর্ঘশ্বাস।
ভাঙছে মন্দির,ভাঙছে মসজিদ
ধর্ম নিয়ে হানাহানি,
স্রষ্টা কে?আল্লাহ না ভগবান?
চলছে যে কানাকানি।
ভাঙছে বন্ধুত্ব,হারাচ্ছে আস্হা
নেইতো ভ্রাতৃত্বের বোধ,
লোভ-লালসা আর হি়ংসার ফাঁদে
জীবন নেবে প্রতিশোধ।
কাটছে বন,করেছে উজাড়
নিরাশ্রয় পশু-পাখি,
প্রকৃতির কোল হচ্ছে যে শূন্য
দেখে নির্লজ্জ আঁখি।
ভাঙছে কুঁড়েঘর,গড়ছে ইমারত
গোগ্রাসে গিলে ভিটেমাটি,
জোর জুলুমের বেড়েছে বাড়
অবাধে চলে লাঠালাঠি।
ভাঙছে বিবেক,জেগেছে শয়তান
গেড়েছে শক্ত ঘাঁটি,
সত্যিকারের ভালো মানুষ আজ
কোথায় পাবে খাঁটি?
ভাঙছি আমি,ভাঙছো তুমিও
ভাঙছে নদীর তট,
ভাঙা-গড়া নিয়ে ফের জীবন
পাতছে মঙ্গল ঘট।
ভাঙবেই যদি কুসংস্কার ভাঙো
ভাঙো অন্যায় প্রথা,
সত্য-বিশ্বাস আর ন্যায়ের দন্ড
বাঁচুক তুলে মাথা।
ভেঙেচুরে দাও শোষণের হাত
অন্যায়কে কর রোধ,
বিবেকের ঘরে দাও গো হানা
জাগুক মূল্য-বোধ।
মৌলবাদ ভেঙে,চেতনা জাগাও
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো,
অন্ধবিশ্বাস ভাঙো,আঁধার ঘুচাও
উঠুক ভরে আলো।
∴∴∴∴∴∴∴∴
কবি পরিচিতি-
আমি নুপুর বিশ্বাস। পিতা হাজারী লাল বিশ্বাস এবং মাতা সুধা রানী বিশ্বাসের সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা। পিতৃ নিবাস-মনিরামপুর,যশোর। পেশা-ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক, নেশা- সাহিত্য চর্চা। গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসি।নাচ,গান,কবিতা সর্বক্ষেত্রে একটু আধটু বিচরণ আছে। সম্প্রতি অবসরে মনের কথাগুলো একটু আধটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করছি মাত্র।ব্যাকরণগত ভাবে সেগুলো কবিতা হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিচারে নাই বা গেলাম, লিখতে ভালো লাগছে,পাঠক অনুপ্রাণিত করছে । এই খুশিটাই অনেক পাওয়া,বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাই বলবো-“কবিতায় বাঁচি”।