একদিন হঠাৎ

-পপি প্রামানিক

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

চব্বিশ বছর পর একদিন হঠাৎ দেখা!!

সেই চোখে চোখ আটকে গেলো।

অনেকটা পথ মাড়িয়ে এসেছি,

তন্নতন্ন করে খুঁজেছি এধার থেকে ওধার।

কিন্তু কোত্থাও পাইনি তোমার খোঁজ!

ভালোবাসার বর্ণমালায় সাজিয়েছিলাম আমাদের ভূবণ,

তুমি বলেছিলে- এ বাঁধন ছিন্ন হবে না যদিও আসে কভু মরণ।

সেদিনই প্রথম তুমি আমিতে একাত্ম হয়েছিলাম,

মনের ঘরে সাজিয়েছিলাম ফুলের বাসর।

আমি অবলীলায় সেটা ভেবেই তোমাকে আরাধ্য করেছিলাম।

আর আমার জন্য তুমি কিছুই করতে পারোনি।

তবে আমার জন্য আর কিছু করতে না পারলেও অন্তত আমাকে ভুলে যেতে তো পেরেছো!!

সেটাই বা কম কিসে?

হয়তো কৃষ্ণবর্ণের মেঘে ছেয়েছিল আমার জীবনের প্রতিটি মুর্হুত।

হৃদয়ের দহনে জ্বলেছি অহর্নিশি,

কিন্তু তোমাকে ভালো তো বাসি!!

গভীর রাতে যখন পৃথিবী ঘুমায়,

আমি অতন্দ্র প্রহরী হয়ে তোমাকে খুঁজি।

রাতের অন্তিম প্রহরে আমি নিজের মধ্যে ফিরে আসি,

বিনিদ্রিত দু’চোখের পাতা এক হলে- স্বপ্নের মাঝে তোমাকেই খুঁজি।

সেই স্বপ্নে আমি পুলকিত হই, শিহরিত হই,

তবুও জীবনের প্রতিটি সূর্যোদয়ে তোমার প্রতীক্ষাতেই রই।

হয়তো এক চিলতে সোনা ঝরা রোদ আমার কাছে ঠিক আসবে,

তাই তো আজও স্মৃতির বর্ণাঢ্য এ্যালবাম যত্নে রেখেছি।

আর তুমি যে সুখের পৃথিবীতে হারিয়ে গিয়েছিলে সেটার রচয়িতা আমিই ছিলাম।

তোমার জীবনের সুখের ঝর্ণাধারার এক বিন্দুও আমি চাইনি,

চেয়েছিলাম তোমার দুঃখের ভাগিদার হতে।

হঠাৎ নিয়ন বাতির আলো ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে।

একি ভাবছি আমি!!!

সেই থেকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছো তুমি!

তোমার জীবনটা তো সুখের উপাখ্যানে রচিত।

তাই আর কষ্ট কেন??

চলো না কফি শপে কফি খেতে খেতে কথা বলি!

মুখোমুখি বসলাম কফি শপে।

দুই যুগ পর হঠাৎ দেখা!

কিন্তু আমার হৃদয় বীণার তারগুলো অনেক আগেই ছিঁড়ে গেছে।

তাই এক নিমিষেই বেদনার মেঘগুলো ভীড় জমালো আঁখিকোণে।

অশ্রুবিন্দুর ভার বইতে না পেরে চোখের পাতা এবার সত্যি সত্যি অন্তরঙ্গ হলো!!

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

কবি পরিচিতি-

পপি প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক, পিতাঃ আশুতোষ প্রামানিক, মাতাঃ কানন বালা প্রামানিক, কালুখালী, রাজবাড়ী, বাংলাদেশ। শখঃ রান্না করা, সাহিত্য সম্পর্কিত কিছু পড়া, গান শোনা,আবৃত্তি শোনা। বর্তমানে নিজের মনের কথাগুলো সাজিয়ে লিখতে চেষ্টা করি মাত্র।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*