একান্তে বৃষ্টি স্নান
-পপি প্রামানিক
♣♣♣♣♣
সকাল থেকে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম,
হঠাৎ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো পুরো আকাশ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে ——-
আকাশটা আজ আমার মনের আকাশের সাথে মিতালী পেতেছে।
দেখতে দেখতেই বৃষ্টি শুরু——-
রিমঝিম ধারায় অঝরে ঝরছে বৃষ্টি!
মাঝে মাঝেই বাতাসের ঝাপটায় কেমন যেন ছন্দ পতন হচ্ছে।
মুহূর্তেই বৃষ্টির শীতল পরশ আমার মনকে ছুঁয়ে গেলো,
আর আমিও উদাসী হয়ে গেলাম।
এমন সময় আমার খুব ইচ্ছে করছে—–
হ্যাঁ, ইচ্ছে করছে তোমাকে নিয়ে একান্তে বৃষ্টি স্নান করতে, অজানায় হারিয়ে যেতে।
কিন্তু ——-
কিন্তু আমি যে নিরুপায়!
সেই তোমাকে তো আমার করে কখনও পাবো না।
কারণ চলে যাবার আগেই যেন তুমি আমার কাছে থেকে চলে গেছো দূরে—-
বহু দূরে!
ক্লান্তহীন প্রেমে মগ্ন হতে হতে বিষন্নতার স্পর্শে আমি হারিয়ে গেলাম।
অতীতের স্বর্ণালি দিনের স্মৃতিগুলো মুহূর্তেই বিষময় হয়ে উঠলো——
হঠাৎ বাইরে তাকিয়ে দেখি ——-
স্নিগ্ধতার রূপের ছটায় প্রকৃতি যেন উপচে পরছে।
আহা কি নির্মল! কি স্বচ্ছতা!
প্রকৃতির নির্মলতাই বুঝিয়ে দিচ্ছে – তার সব দুঃখ-কষ্ট কান্না হয়ে ঝরে গেছে, ঝরে গেছে তার সকল বিষাদ।
ফুটেছে আবার ঝলমলে রোদ!
আহারে প্রকৃতির কি খেলা!
কিন্তু আমার হৃদয় আকাশের মেঘ আরও ভারী হয়ে গেলো।
অতঃপর আমার মাঝে আমি তোমাকে খুঁজতে থাকলাম।
♣♣♣♣♣
পরিচিতঃ
নামঃ পপি প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক, স্বামীঃ বিশ্বজিৎ সাহা, আমার দুই মেয়েঃ সজ্জিতা সাহা ও অর্জিতা সাহা অফুরন্ত অবসরে একটু লেখার চেষ্টা করি মাত্র। বাসস্থানঃ কালুখালী, রাজবাড়ী, বাংলাদেশ।