দর্পণ

-চৈতী শিবক্ষত্রীয়

♦♦♦♦♦♦

দর্পণ পানে চাহিয়া দেখি বহুদিন পর,

সেইরূপ নেই আমার আগের মতোন,

কতনা সুন্দর ছিলাম যৌবন কালে,

কোথায় গেল সেই রূপ বৃদ্ধ বয়সে?

কতনা অহংকার করেছি আমি,

ক্ষণিকের সেই নিঃস্ব রূপ নিয়ে,

আজই সে হইলো না সম্বল,

দর্পণ বুঝাইয়া দিলো এক নিমেষে।

দিনশেষে নিজের পাপের

বাটখারাতে অন্যের পাপ মাইপাছি,

নিজের দিকে একবারও না

আমি চাহিয়া দেখিছি।

দর্পণ বলিল ভাই-

দিন যে তোমার বেশি নাই,

অহংকার ছাড়িয়া তুমি

নিষ্কাম কর্ম করিয়া চলো।

ইহাতে পাইলে তুমি পাইতে

পার সর্বপাপ হইতে মুক্তি।

♦♦♦♦♦♦

কবি পরিচিতি:-কবি চৈতী শিবক্ষত্রীয় ২০০০ সালের ৪ঠা এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার মামার বাড়ি কালিয়াকৈর থানা ও গাজীপুর জেলায় অবস্থিত বরাব গ্রামে থাকাকালীন শিবলতলী হাসপাতালে সনাতন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার ছদ্মনাম দ্রৌপদী।মা ও দিদার মুখ থেকে জানা যায় জন্মের পর ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও বেশ কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসে।পিতা শ্রী সুধাংশু শিবক্ষত্রীয়,মাতা শ্রীমতি দিপালী শিবক্ষত্রীয়।তিনি ছোট বেলা থেকেই মামার বাড়িতে বড় হন।বরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১২সালে প্রাথমিক পাস করেন।২০১৮সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।পরবর্তী বছর ২০১৯ সালে স্থানীয় আরিফ কলেজের মাধ্যমিক শাখা প্রফেরস এম ই এইচ আরিফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মাধ্যমিক পাস করেন।মাধ্যমিক পাস করার পর ২০১৯সালে কালিয়াকৈর থানা ও গাজীপুর জেলায় অবস্থিত আমবাগ ইউনিক কলেজে ভর্তি হন।বর্তমানে তিনি দ্বাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় অধ্যয়নরত! তিনি ধর্মানুরাগী।

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*