আমাদের মেয়ে

-এম এ হাসান

♥♥♥♥♥♥

খেলাধুলা হৈচৈ আর,

ছিল স্কুলের পাঠ।

ঈষাণ কোনে গল্প করে,

দেখতো সবুজ মাঠ।

ভোরবেলাতে ঘুম ভাঙিয়ে,

মাতিয়ে দিতো ঘর।

মায়ায় বেঁধে রাখতো মেয়ে,

ছোট্ট এ সংসার।

এটা ওটা বায়না ধরে,

বাবা মায়ের কাছে।

মিষ্টি হেসে দুষ্টু চোখে,

বুঝে নিতো সে।

মায়ের হাতের পায়েস খাবে,

আজকে জন্মদিন।

শ্রেণি থেকে আজ জলদি আসবো,

বললো হেসে ক্ষীণ।

বান্ধবীরা আসবে শুধু,

থাকবে সময় অল্প।

সামনে তো বোড পরীক্ষা,

করবে স্বল্প গল্প।

চট করে সে বেড়িয়ে গেলো,

স্কুলটার দিকে।

মিষ্টি হাসি রইলো লেগে,

মায়ের চোখে মুখে।

গোছগাছ আর রান্নাও শেষ,

কন্যা আসার পালা।

আসতে কেন করছে দেরী,

মায়ের মনে জ্বালা।

হঠাৎ! হৈচৈ কন্যা এলো ঐ,

সাথে স্কুলের সবাই।

ছাত্র ছাত্রীরা সব এসেছে,

আরও ম‍্যাডাম মাষ্টার মশাই।

পাগলী মেয়ে বলেছিল সে,

আসবে বান্ধবীরা।

অথচ দেখো সবাই এসেছে,

সাথে পাড়া পড়শিরা।

সবাই দেখছে অদ্ভূত এক,

জন্মদিনের সাজ।

সারা গায়ে লাল ছেড়াছুটো সব,

রক্তের কারুকাজ।

মাকেই শুধু দেখতে দেয়না,

পড়শী আর জনগণ।

নির্বাক মেয়ে খাটিয়ায় শুয়ে,

ডেকেছে মেহমান।

হাসিখুশি ভরা সংসার খানি,

শূন্য! আর কান্না।

গাড়ির চাকায় পিশে দিয়ে যায়,

একরাশ খুশির বন‍্যা।

এমনি হাজার বাবা মা আছেন,

শোক আর্তনাদ বুকে।

তবু বেপরোয়া ঘুসের দলিল,

অবৈধ রয় সুখে।

♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

পিতা- মৃত এ হাসেম। মাতা- মৃত আমেনা বেগম। গ্রাম- চাঁচড়া মধ‍্যপাড়া। পোষ্ট-চাঁচড়। থানা-সদর। জেলা-যশোর। শখ- প্রকৃতি দেখা। পেশা- ফটো গ্রাফার। পড়া- এস এস সি / মানবিক। প্রাপ্তি- বিভিন্ন সংস্থা হতে চারুশিল্পের উপর পুরস্কার প্রাপ্তি।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*