আজ আমি নির্বাসনে
-নুপুর বিশ্বাস
♥♥♥♥♥♥
আজ——
———-আমি নির্বাসনে,
ম্রিয়মাণ বিকেলে-
বসে আছি একা বিষাদ মনে,
চাপা কষ্টের নিশ্চুপ ঢেউ,
পাথরের মত নিথর দেহ,
মৃতের মত শীতল,
পলকহীন চোখ,
যন্ত্রণার সমুদ্রে ভাসছে ওই
লাল খামে একগুচ্ছ চিঠি,
শুকনো গোলাপের পাপড়ি,
পুরোনো গিটার,
একসাথে গাওয়া গান,
আর স্মৃতির কলতান।
গুপ্ত কষ্টে পাঁজর ভাঙ্গে,
শ্রাবণধারায় মিশে যায়
চোখের বারিধারা,
জ্বলে পুড়ে খাক্ হয়ে যাওয়া
আবেগের শেষ ভস্ম-
আনমনে বাতাসে উড়াই।
নক্ষত্রময় আকাশে
নীরব অনুযোগে
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি,
অনিচ্ছাসত্ত্বেও সাথী হয়-
আদুরে অভিমান,
অবাধ্য পিছুটান,
আর সোহাগী কষ্ট,
ব্যথাগুলো লুকানোর
ব্যর্থ চেষ্টা চলে অবিরাম,
নির্ঘুম চোখের কালিতে
নির্লজ্জের মত তবুও হয় সুস্পষ্ট।
কীটে খাওয়া মগজ,
অস্থির ক্ষণ,
অসংলগ্ন জীবন,
কোথাও নেই স্নিগ্ধতার পরশ,
সবকিছু আজ অসহ্য মনে হয়
গোধূলি আকাশে আবিরছটা নয়
যেন গনগনে গলিত লাভা-
টগবগ করে ফুটছে,
জোছনার নীলচে আলো-
এখন আর মায়া জাগায় না,
নিষ্ঠুরতায় পোড়ায় চোখ।
ফাগুনের নেশালু হাওয়ায়-
মাতাল হয় না এই মন
বরং গায়ে ফোস্কা পড়ে,
ভেজা বকুলের সোঁদা গন্ধ-
জ্বলন ধরায় বুকে,
ভালোবাসার পৃথিবী থেকে
হারিয়েছি বহু দূরে,
আজ—-
——আমি নির্বাসনে।
♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি:-
আমি নুপুর বিশ্বাস। পিতা হাজারী লাল বিশ্বাস এবং মাতা সুধা রানী বিশ্বাসের সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা। পিতৃ নিবাস-মনিরামপুর,যশোর। পেশা-ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক, নেশা- সাহিত্য চর্চা। গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসি।নাচ,গান,কবিতা সর্বক্ষেত্রে একটু আধটু বিচরণ আছে। সম্প্রতি অবসরে মনের কথাগুলো একটু আধটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করছি মাত্র।ব্যাকরণগত ভাবে সেগুলো কবিতা হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিচারে নাই বা গেলাম, লিখতে ভালো লাগছে,পাঠক অনুপ্রাণিত করছে । এই খুশিটাই অনেক পাওয়া,বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাই বলবো-“কবিতায় বাঁচি।