বিরহ নিশি
-অদিতি প্রামানিক
♦♦♦♦♦♦♦♦
সকল ভালো লাগা মন্দ লাগা
সবটুকু নিয়ে বেসেছি ভালো,
এক রাশ মুগ্ধতা নিয়ে চেয়েছি
তোমায়একান্ত আপন করতে।
ভালোবাসা অঙ্কুরিত বীজের থেকে
নির্মল চারা হতে চেয়েছে,
বিধাতার কি নির্মম পরিহাস সে চারা
বৃক্ষে পরিনত হলো না।
ভালোবাসা এমনই করে
নিজে পুরলো ও আমাকে পুরালো,
এখন আমি পীরিতে পোরা এক ভস্ম
যার নেই কোন অস্তিত্ব।
বুকের কষ্টগুলো যখন নোনা জল হয়ে
ঝরে পরতো অঝরে,
কেউ শুনতো না সেই বোবা কান্না
আওয়াজ বুঝতোও না।
আমার কষ্টের নিশি পার হতো
একাকী বিরহ স্বপন বপন করে,
কখন যে রাত পেরিয়ে ভোর হত
পাখির ডাকে বুঝতাম না।
এমনই ভালোবাসা ছিল আমার
হৃদয় মন জুড়ে এক জলছবি,
মনের ভুলে কখন কবে
সেই ছবিতে প্রাণ পেলো বুঝি নি।
সকল অনুভুতি উজার করে
এক পাওয়ার নেশায় ছুটে চলা,
মরিচিকার ছুটে চলেছিলাম
পাগলের মতো পাবো ভেবে।
ভালোবাসা স্বপন ভাঙার মতো
ভেঙ্গে দিল আমার হৃদয় মন,
আহত পাখির মতো ডানা ঝাপটাই
একটু উড়ার নেশায়।
মন পুরা হৃদয় হলো ক্ষতবিক্ষত
মিছে মায়ার পিছনে শুধু ছুটে,
এখন আমার বিরহ নিশি কাটে
ভালোবাসার বিরহ গীত গেয়ে।
সেই চোখের মায়ায় নিজেকে
হারিয়েছিলাম গভীর প্রেমে,
আজ সেই প্রেম অতলে তলিয়ে
ধীরে ধীরে নিঃশ্বেষ করি মোরে।
ভালোবাসার আগুন জ্বেলে বুকে
পুরায় আমি যে নিজেকে,
বিরহ নিশি আমার যায় কেটে
তোমার মুখপানে চেয়ে চেয়ে।
♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচয়:কবি অদিতি প্রামানিক।এম, এস,সি মাষ্টারস। কর্মে গৃহিনী।এক কন্যার জননী।স্বামী তরুন কুমার বৈদ্য। পিতা অখিল প্রামানিক,মাতা কল্পনা প্রামানিক।নিবাস মাগুরা জেলা,বাটিকাডাঙ্গা গ্রাম।