চুপ ..রাজি!?
-অঞ্জনা চক্রবর্তী
♥♥♥♥♥♥♥
তরঙ্গে দেখা ; পড়েছি খানিক লেখা
বা আমার লেখায় মন্তব্য, পরিস্ফুটিত উদারতা |
শব্দ আর চরিত্র কি সমান্তরালে! কখনো সামনের,’ না ‘.. যে হ্যাঁ বলে ___
সেদিন নন্দন প্রাঙ্গনে ডেকে জানতে চাইলে—
ভালোবাসো?
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম, বললাম, না…
তুমি মৃদু হেসে বললে, এত অভিমান কেন করো?
আমি বললাম, কই , না তো? আমার কি বা এসে যায় তোমার ওই মহিলার সাথে কাটানো কিছু সময়?আমি কে?
—তুমি আমার সব…ছেড়ে যেও না..লক্ষ্মীটি |
—যাবো চলে, দিলাম মুক্তি ; থাকো তুমি তোমার শুভাকাঙ্খীদের সাথে |
নাও বাদাম — খানিক হাল্কা হওয়া |
–নাহঃ..;আরে নাও না.. না হয় তার পর যেও চলে….
–কি? আমি ছাড়লেই তুমি ছাড়বে কেন? এ কেমন অসঙ্গতি !?
এই তুমি পুরুষ জাতি? নেই দৃঢ়তা!? সম্মতি নিয়ে দিলে বদনাম?
বলো,কথা ছেড়ে যাওয়া..? কেমন অভিরুচি?
সব শব্দ উল্টো পুরাণে ভর্তি ;অর্থ অমূলক |
না যে হ্যাঁ হয়, দেয় প্রশ্রয়, অনুমতি |
জানি না… চুপ…মানেও হ্যাঁ, হয়তো সামনাসামনি ;”মৌনম সম্মতি লক্ষম “|
রাজ্য ভেদ করে আসা কথামালারা যখন কথা বলে..
খানিক কথা হয়তো ভুল বোঝার বৃষ্টি…ছলাৎছলে
অনুরাগ, ইচ্ছা প্রকাশ, মৌন বার্তায় মুখ ভঙ্গি
দেখা যায়না শব্দ বুননে
খানিক ধোঁয়াশায় চেনা যায়না, বিশ্বাস রাখা যায়না
দু দিনের সম্পর্কে আলোকবর্তী দূর, ব্লক বাটনের তথ্য তছরূপ
ভাঙে মন , হৃদয়ে অনল,হতাশার রুগী ___নিশ্চুপ |
♥♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি -ইংরেজি তে স্নাততকোত্তর হওয়ায় সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ শৈশব কাল থেকে |পাশে পেয়েছেন স্কুলের শিক্ষক, বিনীতা দত্ত, উর্মি গাঙ্গুলী, miss দাসগুপ্ত, ফাদার এলেক্সেন্দ্র কে অনুপ্রেরণার আঙ্গিকে |সাথে থেকেছেন প্রযুক্তিবিদ স্বামী সমরেশ ও সন্তান সোমক |শিক্ষকতার সাথে যুক্ত থাকায় গড়ে উঠেছে মূল্যবোধ যা পরিস্ফুটিত কলমে |পাঠক বৃন্দ পূরবী গাঙ্গুলী নবনীতা কুণ্ডু নবকুমার, মুনমুন চ্যাটার্জি আরো অসংখ্য যাদের নাম উল্লেখ করে শেষ করা যাবে না তার লেখার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন | সাথে থেকেছে সহ কবি মারুফ, ভাস্কর , অঞ্জনা দেবনাথ.. আরো অনেকে যারা প্রতিনিত তাকে ভাঙা কলম জোড়া লাগাতে সাহায্য করে |
সকলের আশীর্বাদ তার একমাত্র পাথেয় |