নিভৃত বাস চাই

-রুদ্রনীল রাজিব

⇔⇔⇔⇔⇔বহু পথের বাঁকে চরণচিহ্ন ফেলে চলতে-চলতে
আবাসহীন আজও আমি এক যাযাবর !
খাঁ-খাঁ বিরান ঘিরে আছে চারিধার,
তিক্ত জলে অবগাহনে অসহনীয় উৎপীড়ন অবয়বে নিয়ে পাড়ি দিলাম কতো নিশুতি আঁধার।
অবান্তর কথা জানে হিজল,তমাল,দেবদারু
সহচর হয়ে রাতের আশ্রয়ে জানে বনের তরু।
পাঁকা রাস্তার বহু পথ কোলঘেঁষা-
আঁকাবাঁকা তার কতো অন্তের ধূম্রজালে
দিশেহারা চোখে নেতিয়ে পড়েছি আগ্নেয়াদ্রির গায়ে
তৃষ্ণাতুর ঠোঁট জল চুমুকের দাদনে,
থমকে গেছে হিমশিলার কূপে পিচ্ছিল পায়ে।
এই কূল আর ঐ কূল-
কোথাও পেলাম না অকূলে ভেলা !
নারকেল বাড়িয়ার পথ,গ্রাম,শহর-গঞ্জ
জরাজীর্ণ নিয়ে বিতাড়িত হলাম বেলা-অবেলা।
শুনেছি নিয়তির ভাগ্যরেখা,
জ্যোতিষিক খড়ি পাতায় প্রস্ফুটন পরিসংখ্যান
নিমিষেই আছে জানা,
কতোদূরে শেষে মিলবে সে পরিত্রাণ।
রেন্টিতলার বালুকণা,ফুটপাত,ষ্টেশন চত্তর
কিংবা দুর্গন্ধ জলাশয় ডাঙাপথে,
কোথায়-
কোথায় আছে অনাবৃত মাথা রাখার ঠাঁই?
আমি যে আজ নিভৃত বাস চাই !
সমাজ,সংসার দূরপাল্লায়-
একমুঠো ভালবাসা,শূণ্য বালতি,বাসনকোসন,
কাগজের বালিশ,ছেঁড়া কম্বল,আর চাই সুশাসন।
খড়ি পাতার মোর ভাগ্যরেখায়,
আছে কি তা প্রস্ফুটন?
ছিদ্র হাঁড়ির কেবল’ই ভেজা তল
অসহায় চোখের মোহনায় অহরহ নোনাজল।
নিঃস্ব জীবন পড়ে থাকে পরিত্যক্ততার কর্দমায়,
ঘৃণার্হ হৃদয়ে ভেসে যায় লবণাক্তায়।
তবে অবসান কোথায়?
তৃষ্ণার্ত কাকের কর্কশ সুরে বুকফাটা প্রলেপ
স্বস্তি আছে কোথায়?
নৈরাশ্যজাগা নিয়ে আজ,নিভৃত বাস চাই।

⇔⇔⇔⇔⇔
লেখক পরিচিতি:
নাম:রুদ্রনীল রাজিব,পিতার নাম:সুধীর চন্দ্র সরকার, মাতার নাম:সাবিত্রী বালা সরকার, গ্রাম:নগদাপাড়া,থানা:মধ্যনগর জেলা:সুনামগঞ্জ

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*