ফেরারী মন
-আরীফ খান রাফী
♥♥♥♥♥♥♥
ধিক! শতধিক!হে মন তোমায়,কেন তুমি কাঁদালে আমায়?
তোমার অবিমৃশ্যকারিতায়, আজ মন পুড়ে যায়।
কোন দুঃসাহসে তুমি, ভালোবাসতে গেলে তাহায়?
ভাবতে পারি না, কত বড় স্পর্ধা তোমার!
বলতে গেলে,”ওগো, তুমি যে শুধুই আমার।”
দুরাচারী মন,বলবার আগে একবার ও ভাবলে না,
আয়নাতে কখনো কি নিজেকে দেখনা?
কি এমন যোগ্যতা তোমার, কিবা আছে গুণ,
তোমার অবিবেচনায়,বুকে জ্বলছে চিতার আগুন।
নিজেকে তুমি বড় ভাব, আসলে তুমি অতি ছোটো,
টাকা-পয়সার নাইকো বালাই, বহরে তুমি খাটো।
মনে ছিল ভয়,ছিল অনেক শংকা,
অবশেষে হয়েছে তোমার,অতি দর্পে হুতলংকা।
ভেবেছো তুমি যোগ্যতা কি তোমার কম,
অথচ সে ভাবেনি তোমায় সামান্য তৃণসম।
এতটুকু বড় হয়েছো অথচ ভালোবাসার মানে বোঝ না,
একসাথে চললে আর মিষ্টি কথা বললেই ভালোবাসা হয় না।
হৃদয় তোমার গলে গেছে এতটুকু ছলনায়,
সবকিছু ভুলে গেছো সামান্য মিষ্টি কথায়।
দূর ছাই! মন কি আর অত শত বোঝে,
ভালো লাগে যারে,মন শুধু তারেই খোঁজে।
অবুঝ মন চিনতে ভুল করেছে তোমায়,
আর্তনাদে তাই আজ বুক ফেটে যায়।
ভালোবেসে অনেকেই হয় অসহায়,
মুখের কথা প্রকাশ করে বোবা কান্নায়।
হয়তোবা আমি ও তাদেরই একজনা,
তোমারই অবহেলায় আজ আমি আনমনা।
হে মন! সুখ তুমি খুঁজেছিলে তারই মাঝেতে,
তুমি কি জান না, সুখ থাকে অপরের কল্যাণেতে।
হে পাপাত্মা! শান্তি তুমি খুঁজেছো তারই ভালোবাসায়,
অথচ জানলে না তুমি, শান্তি থাকে প্রভুর উপাসনায়।
যেমন বোঝনি তুমি, এখন কেঁদে যাও,
কেঁদে কেঁদে এখন শুধু বুক ভাসাও।
♥♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি-
মুহাম্মদ আরীফুর রহমান ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন থানাধীন দেউলা ইউনিয়নের অন্তর্গত জমির আখন বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।পরবর্তীতে পিতার চাকুরীর সুবাদে (অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক,শাহবাজপুর মহাবিদ্যালয়) লালমোহন চলে আসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪-০৫ সেশনে ইংরেজিতে অনার্স -মাস্টার্স করেন।বর্তমানে তিনি দেশের শরীয়াহ বেসড শীর্ষস্হানীয় একটি ব্যাংকে চাকুরীরত। পাঁচ ভাই, দু বোনের মধ্যে তার অবস্থান ষষ্ঠ। পাঁচ ভাই সবাই চাকুরীজীবি। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় “বুশের মাথা গরম হয়েছে ” শিরোনামে কবিতায় আত্মপ্রকাশ, যার জন্য হন প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত।বর্তমানে তার বেশ কয়েকটি যৌথ কাব্য প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যর্থ স্বপ্ন, কাব্যকুঞ্জ, জীবনের স্মৃতিময় কবিতা,তারাদের হাতছানি প্রভৃতি। কয়েকটি যৌথকাব্যের কাজ চলছে। তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।