বাবা
-পপি প্রামানিক
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
নিরবে নিভৃতে কঠোর শাসনে, উদার স্নেহে, হৃদয়ের কোমলতায়,
ত্যাগে অগ্রগামী হয়ে যিনি ভালোবাসেন তিনিই বাবা।
‘বাবা’ কথাটি দু’টি বর্ণের একটি শব্দমাল্য
যার ভিতরে অন্তর্নিহিত রয়েছে সহস্র বিশেষণের গাঁথুনি।
যাঁর ব্যাখ্যা বা পরিধি বিস্তর।
যাঁর কর্মযজ্ঞ কালো কালির বর্ণে সাদা কাগজে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব।
তিনি যেন বিশাল বটবৃক্ষের ছায়া,
স্নেহ ভালোবাসায় ভরা গভীর এক মায়া।
সন্তানের জীবনের গচ্ছিত স্বপ্ন বুননে
তিনি অগ্রগণ্য হয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেন।
সন্তানের স্বপ্ন পূরণে নিজের কষ্টগুলো
শোকেসে সাজিয়ে রাখার মতো মনের কোণে সাজিয়ে রাখেন।
একজন বাবাই শেখান যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপখাইয়ে চলার নামই জীবন।
সংসারের সকলের ভরণপোষণের তাগিদে
সকলের ইচ্ছে পূরণের নেশায় একমাত্র বাবাই পারেন নিজের ইচ্ছেগুলোকে ফিকে করে দিতে।
সন্তানের মুখের এক মুঠো হাসি দেখবার
তীব্র আকাঙ্খায় মাথার ঘাম পায়ে মাড়িয়ে যেতেও পিছুপা হন না।
প্রদীপ শিখার মতো নিজে জ্বলে সন্তানের জীবনকে আলোকিত করার
প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা বাবাই চালিয়ে যেতে পারেন আমৃত্যু।
সন্তানের ভূবণে তিনিই বিশ্বপিতার আসনে আসিন থেকে
দু’হাত ভরে আশীষ বর্ষিত করেন অকৃপণ ভাবে।
উনিই বাবা আর এটাই বাবার ভালোবাসা!
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতঃ
পপি প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালুখালী, রাজবাড়ী। প্রিয় শখঃ রান্না করা, গান শোনা এবং বর্তমানে অন লাইনে একটু লেখালেখি করা।