একুশের নারী সৈনিক
-নিত্যানন্দ বিশ্বাস
↔↔↔↔↔↔↔
মহান ভাষা আন্দোলনে নারীর ভূমিকা অপরিসীম
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” আন্দোলনে নারীদের সাহস অসীম।
রাতে পোস্টার এঁকেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা
আহতদের চিকিৎসায় ভূমিকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা।
২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গে বাংলার নারীরা
ভাষা আন্দোলনের খরচ চালানোর জন্য অলঙ্কার দেন নারীরা।
সভা-সমাবেশে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অসংখ্য নারী গ্রেফতার হন
অসংখ্য নারী পুলিশের টিয়ারসেল,লাঠিচার্জের মুখোমুখি হন।
ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্য জেল খাটে বহু নারী
সংসার হারিয়েছেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হয়েছে বহিষ্কৃত নারী।
রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে সমান তালে মিলিয়ে ছিলেন বাংলার ভাষাকন্যারা
বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা করার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন নারীরা।
ভাষা আন্দোলনে নারীগণ লায়লা নূর, লিলি হক, আনোয়ারা খাতুন
রওশন আরা বাচ্চু, সৈয়দা শাহারা বানু, কাজি খালেদা, হালিমা খাতুন।
চেমন আরা, রিজিয়া খাতুন, জোবেদা খানম,প্রতিভা, মমতাজ বেগম
বেগম সুফিয়া কামাল,হোসনে আরা, শরিফা খাতুন, নাদেরা বেগম।
ঢাকার রাজপথে আসে ভাষা আন্দোলনে পল্লি বাংলার অসংখ্য নারী
পবিত্র শহিদ মিনারের নক্সায়ও ছিলেন নভেরা আহমেদ যিনি নারী।
ভাষা আন্দোলনের অবদানে একুশে পদক পান বহু পুরুষ ভাষা সৈনিক
কিন্তু একুশে পদক পাননি বঙ্গের অবহেলিত নারী ভাষা সৈনিক।
↔↔↔↔↔↔↔
লেখক ও কবি পরিচিতি:
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গ্রামরত্ন আস্করে এক বিখ্যাত ভাংরা বংশে ১৯৬৯ সালে পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম নিতাই ভাংরা। তাঁর মাতার নাম সুচিত্রা রাণি বিশ্বাস। পিতার নাম তারাকান্ত বিশ্বাস।পিতামহ নবীন বিশ্বাস। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র এবং খেলাধুলায়ও পারদর্শী। পারিবারিক জীবনে কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস-এর স্ত্রী বেদানা বিশ্বাস। তাঁর তিন কন্যা- রত্না, টিনা, পূজা। পুত্র- প্রত্যয় বিশ্বাস তনু।