অভিমানী মেঘ
-বিমান বিশ্বাস
≈≈≈≈≈≈≈≈
আগন্তুক মেঘেরা বাতাসের সিঁড়ি ভেঙে নেমে আসে
পৃথিবীর দুঃখে ঘুম চোখে ঊষার আহ্বানে।
অশ্রুর বিন্দু বিন্দু জল হয়ে ঝরে পড়ে বনে বাদাড়ে,
নির্জন দুঃখের প্রদেশে সুখের সংসার ছেড়ে…
ধুতে চায় পৃথিবীর দুঃখ আপন হাতে
যেখানে জীবন যেনো স্তব্ধ, জঠরে জরাজীর্ণ প্রেমের অব্যক্ত বেদন,
অগাধ স্বচ্ছলতায় নিদারুণ কষ্টরা ঢেউ তোলে অসীম বৈভবে!
বুক চাপা গ্ৰীষ্মের দুপুরে দীর্ঘ শূন্যতায় জলছবি আঁকে বিস্তৃর্ণ পৃথিবীর ধুলোয়,
মিশে যায় মাটিতে,উপচে পড়া ওষ্ঠের রসের স্রোতে ভেসে ঝলমলে পুড়ে যাওয়া দিন।
ভালোবাসায় সিক্ত করে ধরণীর ধূলি
প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হয় সৃষ্টির বিপুল সম্ভার..
সময়ের ডাকে দিন ফুরিয়ে এলে
জলছবি এঁকে ফিরে যায় তার আপন ঘরে….
আগন্তুক পাখির কূজনে ব্যথা নিয়ে আগন্তুক সেই মেঘ হয়ে পৃথিবীর ধূলি গায়ে মেখে
নির্জন নক্ষত্রের মাঝে ঠিক একাএকা!
≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
বিমান বিশ্বাস।থাকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত পানিহাটি অঞ্চলের সোদপুরের নাটাগড়ে। লেখালিখি মজ্জাগত নয়। মনের আনন্দে কষ্টের শরীরে চিকচিকে রোদ্দুরের উষ্ণ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কিছু লিখতে বাধ্য করে মনের কথারা।হয় না কিছুই, অবচেতনের আহ্বানে শুধুই বৃথা চেষ্টা।