রক্তাক্ত ডায়েরী
-মাই ফেয়ার চৌধুরী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
একটি কিশোরের রক্তাক্ত ডায়েরীর ইতিকথা,
প্রতি পাতার ভাঁজে ভাঁজে হাজারো স্মৃতি কথা।
দিনক্ষণ অবস্থান সময় লিপিবদ্ধ পুঞ্জ পুঞ্জ সেথা,
সেই দুরন্ত কিশোরের নির্ঘুম রাত জাগা
মনের তুলিতে অলীক স্বপ্নের ছবি আঁকা।
উড়ন্ত রঙিন স্বপ্ন গুলো নিত্য খাতায়,
গুছিয়ে সাজাতো মনের রঙিন পাতায়।
অঙ্কুরেই ঝরে পড়ে সবুজ পাতা,
কিভাবে লিখি সেই মর্মান্তিক কথা।
ঘাতকের কবলে দেহ আর মাথা,
কেড়ে নিল দুরন্ত কিশোরের প্রাণ তাজা!
মিনিটে ব্যস্ততার কোলাহল শহর নীরবতা।
ছিল সেদিন বহু প্রতীক্ষিত দুটি মন,
দুজনে দেখা সাক্ষাতের প্রথম ক্ষণ।
হলো না আর মুখোমুখি মিলন,
এ সময়ে নিয়তির চরম সত্য লিখন।
দুর্ঘটনায় কবলিত কিশোরের জীবন,
নিমিষে মিশে গেল জীবন বৃত্তের বুনন।
থেমে গেল দুরন্ত কিশোরের সকল স্বপন,
ওপারের ডাকে সকল কিছুর পরিসমাপ্তি মরণ।
নিরব শান্ত দেহ পড়ে রইল মাটির বুকে,
মরণ যাত্রায় বাকরুদ্ধ কিশোরী পাথর চোখে!!!
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
মাই ফেয়ার চৌধুরী, মাতা-লায়লা বেগম, পিতা-রমজু চৌধুরী, আগ্রাবাদ সি,ডি,এ আবাসিক এলাকা, পুলিশ স্টেশান-ডবল মুরিং,ডাকঘর – বন্দর, জিলা-চট্টগ্রাম। সাহিত্য অনুরাগী ফেসবুক বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় লিখার হাতেখড়ি,কলম ধরার সাহস খুবই অল্প সময়।বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা তৃতীয় চোখে দেখা অনুভূতিকে কবিতায় প্রকাশ চেষ্টা মাএ।অবসরে বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে লিখতে চেষ্টা করি।ভ্রমণ ও ছবি তোলা ভীষণ সখ,গান ও সাহিত্য প্রিয়।চুকিয়ে আড্ডা মারা বন্ধুের সাথে আনন্দ দেয়।